হ্যাপী আক্তার : রাজধানীরি অধীকাংশ গাড়ি চালকই মাদকাশক্ত। বেসরকারি সংস্থার জরিপে বলছে ৮৯ শতাংশ বাস চালকই মাদকাশক্ত। বিষয়টি সিকার করেছে মালিক সমিতির নেতারা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাশক্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
চালকের দাবি গাড়ি চালানোয় মনোযোগ ও যাত্রীদের সাথে বির্তকের সময় নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ আনতেই তারা মাদক সেবন করে থাকেন।
রাজধানীর মোহাম্মদ পুরে দিনে দুপুরে চলে চালক-শ্রমিদের মাদক সেবন। ১৮ বছরের গাড়ি চালানোর সঙ্গী হচ্ছে গাজা।চালকদের দাবি মাদক ছাড়া জীবন অচল, মাদক সেবন না করলে গাড়ি চালাতে সমস্যা হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা।
পরিবহনের চালকদের টার্গেট করে রাজধানীতে চলে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। রাজধীতে এমন অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে যাদের দেখে মনে হবে সে মানসিক রোগী।
গাড়ি চালকদের মাক সেবনের কথা জানা আছে মালিকদের অনেকেরই। তবে নিয়ন্ত্রণ করতে তেমন কোনো দাবি করেন না তারা।
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, আমি মনে করি আমরা হাজার বলার পরেও চালকরা মাদক সেবন করে। সেহেতু এই অবস্থাতে চালকেরা সুযোগ নিয়ে থাকে।
বিশেজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, মাদকাশক্ত কোনো চালকেই সুস্থভাবে গাড়ি চালাতে পারেন না।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মাদক গ্রহণ করার পরে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের শরীরে সাময়িক উত্তেজনা শুরু হয়। যার কারনে অনেক সময় দুর্ঘটা ঘটে যায়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক বলেছেন, যেহেতু তারা মাদক সেবন করে গাড়ি চালায় সে কারনে চালকের সেই সময়ে বিচার, বুদ্ধি ও বিবেচনার কাজ করে না।
অনিয়ন্ত্রিত বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারনে অনেক সময় হাত, পা ও প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :