গভীর রাতে ছাত্রীদের হল থেকে বের করা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা এবং বর্বরতা। যদি বের করতেই হতো তাহলে তাদেরকে দিনের বেলায় বের করা উচিত ছিলো। এটা স্বাধীনতাবিরোধী একটা ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ সবাই মিলে যাকে বহিস্কার করলো, আবার সবাই মিলে কোন তদারকি ছাড়া পূনর্বাসন করলো। তারা বহিস্কার না হয়ে সাধারণ ছাত্রীদের বহিস্কার হতে হলো। কোন বিবেচনায় রাতে বের করা হলো? কোন বিবেচনায় বহিস্কার করলো? সেগুলোর সঠিক কোন সদুত্তর তাদের কাছে নাই। যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো, তাতে কারা ছিলো? কি তারা পেলো তদারকি করে? এগুলো কিছুই জানা হলো না। সেটা খুবই রহস্যজনক। ফলে একসময় এশার মতো একটা মেয়েকে ছাত্রলীগ ও সরকার বহিস্কার করে তাদের মুখ রক্ষা করেছেন। আন্দোলনকে দমাতে এশাকে পূনর্বাসন করে ছাত্রলীগ আবার নির্যাতনকে সমর্থন দিলো বা উৎসাহ দিলো। এটা দেশের মানুষ মেনে নিবে না। এশাকে যখন দ্রুত ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হলো তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ জানতো পূর্ব থেকেই তাই দ্রুত বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা জানতো কিভাবে এশা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্যাতন করতো। এই কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এশাকে পূনর্বাসনের মানে হলো আন্দোলনকারীদের উপর যে নির্যাতন বা তান্ডব চালিয়েছিলো এশা, তার পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করা। আন্দোলনের বিরুদ্ধে এক আক্রমণ নামিয়ে আনা। আমরা এ সকল আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রীদের পূনর্বহালের আহ্বান জানাচ্ছি।
পরিচিত : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা।