শিরোনাম
◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা ◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন ◈ ডাকসুতে শিবিরের জয়—প্রচারণা, কৌশল নাকি জনপ্রিয়তা? ◈ জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিল- প্রস্তাব জামায়াতের ◈ ভয়াবহ সমুদ্রযাত্রা: ইতালির লাম্পেদুসায় পৌঁছেছে বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ◈ কাতারে ইসরায়েলি হামলা: পরাশক্তির মিত্র হয়েও বন্ধুহীন দোহা? ◈ মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা : জামায়াত নেতা আযাদ ◈ মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:২৭ সকাল
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে সিএনজি চোর চক্রের ২৫ গ্রুপ

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া তৎপরতার মধ্যেও রাজধানীতে সিএনজি চোরচক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। চোরচক্র প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল পাল্টাচ্ছে এবং বের করছে নতুন নতুন কৌশল। আর এসব কৌশলের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছেন গাড়ির মালিকরা।

সম্প্রতি কদমতলী এলাকা থেকে এ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সেনসেশনাল মার্ডার টিম। এরা হলেন, নিজাম তালুকদার, আবুল হোসেন, সাহাবুদ্দিন, রুবেল ইসলাম ও মালেক হাওলাদার। জিজ্ঞাসাবাদে বেশকজন গডফাদার ও সোর্সের নাম জানিয়েছে এরা। মোশারফ, রানা, সুমন নামের তিন সোর্স সিএনজি ব্যবসায়ীদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়েও সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সম্প্রতি কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, মগবাজার এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আটক করে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও কজন ব্যবসায়ীকে ডিবি পরিচয়ে ফোন করে টাকা দাবি করা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা ও এর আশপাশে প্রায় ২৫-৩০টি গাড়ি চোরচক্র সক্রিয়। প্রতিটি চক্রের সদস্য ১৫-২০ জন। ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে এরা গাড়ি চুরি করছে। ব্যবহার করছে নতুন কৌশল। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে আগে থেকেই অবস্থান এই নেয় চক্রের সদস্যরা। এসব স্থানে কোন গাড়ি কতক্ষণ পার্কিংয়ে থাকে, গাড়ির নম্বর, চালক ও মালিককে অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে চক্রের সদস্যরা। তথ্য সংগ্রহের পর চক্রটি গাড়ি চুরির পরিকল্পনা করে। স্পটে থাকা ব্যক্তির ইশারা পেলেই চক্রের অন্য সদস্যরা কৌশলে ও মাস্টার কি ব্যবহার করে গাড়িটি চুরি করে। এছাড়া খাবরের সঙ্গে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়ে চালককে অজ্ঞান করেও সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চম্পট দেয় এরা।

সিএনজি চুরির কৌশল বিষয়ে গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চক্রের কয়েকজন সদস্য ওইসব দোকান ও আশপাশে আড্ডারত অবস্থায় থাকে। কোনো সিএনজিচালক থেমে দোকনে চা পান করতে নামলে চায়ে চেতনানাশক মিশিয়ে দেওয়া হয়। চালক নেশায় ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ বলে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন সদস্যরা। ওই সিএনজিতে তুলে নিয়ে শহরের কেনো নির্জন স্থানে চালককে ফেলে রেখে সিএনজি নিয়ে উধাও হয়ে যায় চোরচক্রের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোকাল সোর্স গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলেও জানায় গোয়েন্দা সূত্র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়