ইমরুল শাহেদ : মার্চে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট অধিবেশনে চীন উর্ধ্বতন কূটনৈতিক পর্যায়ে রদবদল করতে যাচ্ছে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। এই রদবলের মূল লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনকে নানা বিষয়ে সন্দেহের চোখে দেখছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকও রয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়াং কিশান ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। তিনি ওয়াশিংটনের বিষয়গুলো দেখবেন এবং সব কিছু সরাসরি প্রেসিডেন্ট শিকে জানাবেন।
বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং যাইকে স্টেট কাউন্সিলর করা হতে পারে। এই পদে থাকা ইয়াং জিয়েসিকে ইতোমধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টির ২৫ সদস্যের পলিটব্যুরোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্টেট কাউন্সিলররা সরাসরি মন্ত্রীদের কাছে জবাবদিহি করেন। একটি সূত্র উল্লেখ করেছে, কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান সং তাও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। তিনিও প্রেসিডেন্ট শি এর সঙ্গে ঘনিষ্ট। সং হলেন একজন পেশাদার কূটনীতিক। তিনি ভালো ইংরেজী জানেন এবং কাজ করেছেন ভারত ও ফিলিপাইনে। গত অক্টোবর মাসে পলিটব্যুরোতে যোগ দেওয়া ইয়ং হতে পারেন পররাষ্ট্র এ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রিমিয়ার। অথবা তাকে করা হতে পারে চীন পার্লামেন্টের উপ-প্রধান। এতে তিনি সরাসরি মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি আলাপ-আলোচনা করতে পারবেন। এর মানে হলো চীনের সর্বোচ্চ কূটনীতিক হচ্ছেন ওয়াং কিশান। তার পরের স্থান হবে যথাক্রমে ইয়াং ও ওয়াং যাইয়ের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি সূত্র বলেছে, এই উর্ধ্বতন তিন কূটনীতিকই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন। সূত্র : স্ট্রেইট টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :