শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাইনবোর্ড ভাঙার আগে আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করা দরকার

 রাজেকুজ্জামান রতন: রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চাই। মাতৃভাষা বাংলা চাই। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।

এই শ্লোগানটা ১৯৫২ সালের । ফলে সেদিন ভাষা আন্দোলনটা শেষ পর্যন্ত ভূখন্ডের অধিকারের আন্দোলনে পর্যবর্সিত হয়েছিল। ভাষার অধিকার, ভোটের অধিকার এবং ভূখন্ডগত স্বাধীনতা একাকার হয়ে গিয়েছিল।

১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে যদিও বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করা হবে, পারি নাই, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। এক সময় উর্দুকে অভিজাত শ্রেণীর ভাষা বলা হতো। তিন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে এখন ইংরেজিকেও অভিজাত শ্রেণীর ভাষা বলা হয়। ফলে আমরা এক রাষ্ট্রে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। উচ্চবিত্তদের জন্য ভাষা শিক্ষা এক রকম, নিম্নবিত্তদের জন্য এক রকম। বাংলাকে সব জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে না। উচ্চ আদালত এখনো বাংলা ভাষা ব্যবহার করছে না। আমরা ভাষার মাসে এই আলোচনা বেশি বেশি করে থাকি।

পৃথিবীতে যতগুলো দেশ উন্নত হয়েছে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক হয়েছে সবকিছুর মূলে ছিল তাদের নিজস্ব ভাষা। জাপানের কথা বলি, জার্মানীর কথা বলি, কোরিয়ার কথা বলি। মাতৃভাষাকে উপেক্ষিত করে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করে নাই। ব্রিটিশ আমলেও কিছু লোক উচ্চ শিক্ষিত ছিল, এখনো আছে। সাধারন জনগণের জন্য যদি বলি, মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করে কোনো দেশই সাধারণ শিক্ষা লাভ করতে পারবে না। এক দেশে দুই ধরনের নাগরিক, এক ধরনের নাগরিক সব অধিকার পাবে, আরেক ধরনের নাগরিক সব কিছু দেবে কিন্তু বিনিময়ে কোনো সুবিধা পাবে না।

বিশেষ কিছু মানুষ সব সময় সুবিধা ভোগ করে থাকে। আজকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এই দূর্বলতার কথা বলি। শিক্ষার অধিকার থেকে সাধারন মানুষ বঞ্চিত। তারা কোর্টে যাবে কোর্টের ভাষা বুঝবে না। তারা টেকনিশিয়ান হবে কিন্তু গবেষকের ভাষা বুঝবে না। ফলে এমনি করে আমরা এক দল জনগোষ্ঠি তৈরি করে ফেলেছি, যাদের ভাষার যে অধিকার সেটা তারা জানেই না।

আমরা দাপ্তরিক জীবনেও বাংলা ভাষা চাই। ৪৭ বছর যথেষ্ট সময়। কিন্তু এতদিনেও হয় নি। আটাশটা বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে গবেষকদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। সাইনবোর্ড ভাঙার আগে আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করা দরকার।
পরিচিতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ/ সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়