শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাইনবোর্ড ভাঙার আগে আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করা দরকার

 রাজেকুজ্জামান রতন: রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চাই। মাতৃভাষা বাংলা চাই। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।

এই শ্লোগানটা ১৯৫২ সালের । ফলে সেদিন ভাষা আন্দোলনটা শেষ পর্যন্ত ভূখন্ডের অধিকারের আন্দোলনে পর্যবর্সিত হয়েছিল। ভাষার অধিকার, ভোটের অধিকার এবং ভূখন্ডগত স্বাধীনতা একাকার হয়ে গিয়েছিল।

১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে যদিও বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করা হবে, পারি নাই, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। এক সময় উর্দুকে অভিজাত শ্রেণীর ভাষা বলা হতো। তিন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে এখন ইংরেজিকেও অভিজাত শ্রেণীর ভাষা বলা হয়। ফলে আমরা এক রাষ্ট্রে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। উচ্চবিত্তদের জন্য ভাষা শিক্ষা এক রকম, নিম্নবিত্তদের জন্য এক রকম। বাংলাকে সব জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে না। উচ্চ আদালত এখনো বাংলা ভাষা ব্যবহার করছে না। আমরা ভাষার মাসে এই আলোচনা বেশি বেশি করে থাকি।

পৃথিবীতে যতগুলো দেশ উন্নত হয়েছে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক হয়েছে সবকিছুর মূলে ছিল তাদের নিজস্ব ভাষা। জাপানের কথা বলি, জার্মানীর কথা বলি, কোরিয়ার কথা বলি। মাতৃভাষাকে উপেক্ষিত করে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করে নাই। ব্রিটিশ আমলেও কিছু লোক উচ্চ শিক্ষিত ছিল, এখনো আছে। সাধারন জনগণের জন্য যদি বলি, মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করে কোনো দেশই সাধারণ শিক্ষা লাভ করতে পারবে না। এক দেশে দুই ধরনের নাগরিক, এক ধরনের নাগরিক সব অধিকার পাবে, আরেক ধরনের নাগরিক সব কিছু দেবে কিন্তু বিনিময়ে কোনো সুবিধা পাবে না।

বিশেষ কিছু মানুষ সব সময় সুবিধা ভোগ করে থাকে। আজকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এই দূর্বলতার কথা বলি। শিক্ষার অধিকার থেকে সাধারন মানুষ বঞ্চিত। তারা কোর্টে যাবে কোর্টের ভাষা বুঝবে না। তারা টেকনিশিয়ান হবে কিন্তু গবেষকের ভাষা বুঝবে না। ফলে এমনি করে আমরা এক দল জনগোষ্ঠি তৈরি করে ফেলেছি, যাদের ভাষার যে অধিকার সেটা তারা জানেই না।

আমরা দাপ্তরিক জীবনেও বাংলা ভাষা চাই। ৪৭ বছর যথেষ্ট সময়। কিন্তু এতদিনেও হয় নি। আটাশটা বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে গবেষকদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। সাইনবোর্ড ভাঙার আগে আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করা দরকার।
পরিচিতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ/ সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়