শিরোনাম
◈ ষড়যন্ত্রকারীদের হিসাব পাল্টে যাবে যদি বিএনপি রাজপথে নামে: ফখরুলের সতর্কবার্তা ◈ এনসিপির মনোনয়ন ফরমের মূল্য ১০ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা ও নিম্নআয়ের প্রার্থীদের জন্য ছাড় ◈ অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ◈ জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ◈ প্রার্থী ঘোষণা করায় চাঙ্গা বিএনপির তৃণমূল ◈ গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিল বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ◈ ৫ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক: আমানতকারীরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতসহ আট দলের বিক্ষোভ, রাজধানীতে তীব্র যানজট ◈ এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ গ্রেফতার ◈ ফের বেড়েছে সোনা-রুপার দাম, দেশে ভরি কত?

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাষার মাস শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট : বছর ঘুরে আবার এলো ফেব্রুয়ারি; স্বাধীনতা, মুক্তি, সাম্য, গণতন্ত্র– আধুনিক বাঙালির সব শুভচেতনার মাস। ১৯৫২ সালের এই মাসে বাঙালি ছেলেরা বুকের রক্ত ঢেলে মাতৃভাষার অধিকারকে সর্বজনীন মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। পুরো মাসজুড়ে ভাষার জন্য যাঁরা বুকের রক্ত দিয়েছিলেন তাঁদের ভালোবাসা জানাবে বাঙালি জাতি। ওই আত্মবলিদানে গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্নও ছিল, যা এই জাতিকে পরবর্তী ধাপে পথ দেখিয়েছে।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে নামেন সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকসহ আরও অনেকে। তাদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা।। পরে এই অর্জনের পথ ধরেই শুরু হয় বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন এবং এর ফলে একাত্তরে ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ, বাংলাদেশ।

ভাষার জন্য বাংলার দামাল সন্তানদের আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। এদিন ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করে। এর মধ্যদিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে এখন বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয়।

একুশের মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এদিন বিকালে বাংলা একাডেমিতে এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে নানা কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আবার হয়ে উঠবে নানান সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখর। এই মুখরতার মাঝে একুশের শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো আর শোকের আবহও বিরাজমান রয়েছে।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞের ব্যাপারে বাংলা একাডেমির মহা-পরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বইমেলায় প্রতিবারই ভিন্ন কিছু করার কথা ভাবা হয় শহীদদের স্মরণে। এবারও মাসব্যাপী থাকবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি চত্বর উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত কথাসাহিত্যিক শওকত আলীকে।’ বাংলঅট্রিবিউন থেকে নেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়