শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:০৩ দুপুর
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিজিএমইএ ভবনে হামলা ও ভাঙচুর, আহত ২০

মোস্তাফিজুর রহমান : বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবনে হামলা, পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শ্রমিক ও বিজিএমইএ কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে শ্রমিকসহ ২০ আহত হন।

শুরুতে বিজিএমইএ ভবনের ভেতরে ও বাইরে ভবনের কাচসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেন শ্রমিকেরা। পরে ত্রাা একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। ওই সময় বিজিএমইএর কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করেন। এতে এক শ্রমিক ও দুই কর্মী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, শ্রমিক ও বিজিএমইএ কর্মী সূত্রে জানা যায়, ঢাকার রামপুরায় অবস্থিত আশিয়ানা নামের এক পোশাক কারখানায় ২০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে বিজিএমইএ ভবনের সামনে জড় হন। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের ব্যানারে সেখানে অবস্থান নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে একজন শ্রমিক জানান, তাঁদের সভা হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল হয়ে গেছে। ওই সময় শ্রমিকেরা পরস্পরকে ডাকাডাকি করে ভবনের মূল প্রবেশদ্বারে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন ভবনের ভেতর থেকে ছয়-সাতজন কর্মী বেরিয়ে এসে তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা পুরো দল নিয়ে ভবনের ভেতর প্রবেশ করে দরজার কাচ, ফুলের টব ভেঙে ফেলেন। হামলায় লিফট, নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য রাখা আর্চওয়ে ও স্ক্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের একপর্যায়ে শ্রমিকনেতারা সবাইকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শ্রমিকদের একটি দল বিজিএমইএ ভবনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন এবং পান্থপথ-তেজগাঁও সংযোগ সড়কের রেল ক্রসিং পর্যন্ত গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। তাঁরা ইট-পাটকেল ছুড়ে ভবনের বাইরের কয়েকটি কাচও ভাঙচুর করে।
ওই সময় বিজিএমইএ ভবন থেকে নিরাপত্তারক্ষীসহ ২০-২৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করেন। শ্রমিক ও কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় একজন নারী শ্রমিক ও দুজন কর্মী গুরুতর আহত হন।

রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে এ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকদের জড় হতে দেখেছি। সেই সময় তাঁরা স্লোগান দিলেও পরিস্থিতি শান্ত ছিল। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিজিএমইএ ভবনে হামলার খবর পাই। ভবনের ভেতরে ও বাইরে কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে।’

বিজিএমইএর ডেপুটি সেক্রেটারি মো. আবুল হোসেন দাবি করেন, শ্রমিকেরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বিজিএমইএ ভবনের ভেতরে-বাইরে ভাঙচুর করেন। শ্রমিকদের হামলায় বিজিএমইএর তিন কর্মী গুরুতর আহত হন।
এদিকে এ হামলায় আহত অন্তত ২০ জন শ্রমিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়