শিরোনাম
◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে?

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:১৬ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা দোষী সাব্যস্ত হলে বিকল্প কি?

রাশিদ রিয়াজ : জাতীয় নির্বাচন শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক মাস আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় হতে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রাখছেন, শলাপরামর্শ করছেন এবং রাজনৈতিক পক্ষে বিপক্ষে দোষারোপ করে বক্তব্য রাখছেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়কে নিয়ে মিডিয়া থেকে শুরু করে অফিস আদালত সর্বত্রই আলোচনা ও তর্ক বিতর্ক চলছে।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২.১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যা বিদেশ থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে এসেছিল। বিএনপি নেতা ও দলটির সমর্থক আইনজীবীরা মনে করছেন এ মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। এবং এর বিপরীত দিকটি মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

এ মামলাটি পেনাল কোডের আওতায় ও দুর্নীতি দমন কমিশন করে। আইনজীবীরা বিশ্লেষণ করে বলছেন, যদি খালেদা পেনাল কোডের আওতায় দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদ-। আর দুর্নীতির দায়ে সাজা হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা হতে পারে।

যদি খালেদার সাজা এক বছরের নিচে হয় তাহলে তিনি আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শর্তে জামিনে মুক্তি পাবেন কি না তা নিয়ে আইনজীবীরা পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন। ঢাকা পঞ্চম বিশেষ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান উভয় পক্ষ থেকে মামলার শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেছেন। এক দশক আগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। আমরা খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। এখন আমরা রায়ের অপেক্ষায় আছি। আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। খালেদার সাজা এক বছরের কম হলে তিনি সাথে সাথেই আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করতে পারবেন।

অন্যদিকে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া দাবি করেন, মামলাটি খালেদার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে নি। কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আশা করি খালেদা নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম বলেন, যদি খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তার কমপক্ষে ১৪ বছর জেল হবে। এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আদালত ভিন্ন রায় দিতে পারে। কিন্তু সর্বনিম্ন সাজার নিচে দিতে পারবে না। যদি খালেদার এক বছরের জেল হয় তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হবে এবং এরপর তিনি আপিল করতে পারবেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন এ মামলাটি দায়ের করে ২০০৮ সালে। মামলায় খালেদা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২.১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা ও আরো তিন জনের বিরুদ্ধে ৩.১৫ কোটি টাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে নয় ছয় করার অভিযোগ আনে।

খালেদা, তার বড় ছেলে তারেক জিয়া ও অন্য চারজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ৬ জনের মধ্যে খালেদা জামিনে আছেন, দুইজন রয়েছে জেলে এবং তারেক সহ আরো দুইজন পলাতক রয়েছেন। ঢাকা ট্রিবিউন থেকে অনুবাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়