সাইদুর রহমান : পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম, মাল্টি-রোল উইং লুং-১ ড্রোন সংগ্রহ ও তা পরিচালনা করছে বলে স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়া ও বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর দিল্লিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের ড্রোনের মোকাবেলায় জরুরিভিত্তিতে ভারতকে ভারি ড্রোন সংগ্রহ করতে হবে বলে মনে করছেন ভারতীয় সমরকৌশলবিদরা।
২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর তোলা স্যাটেলাইট ছবিতে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী মিনাওয়ালিতে অবস্থিত এমএম আলম বিমান ঘাঁটিতে চীনের তৈরি ইউং লুং-১ ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজে’র ড্রোন স্টাডি সেন্টারের তৈরি এক রিপোর্টে বলা হয়, ‘ড্রোনের ডানার বিস্তার, যা ১৪ মিটার, ভি-আকৃতির লেজ এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে তোলা উইং লুং-১ এর ইমেজ বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌছা গেছে।’
উইং লুং সর্বোচ্চ ২৮০ কি.মি. গতিতে চলতে পারে এবং এর পাল্লা ৫০০০ কি.মি.। ২০ ঘন্টা টানা উড়তে পারে এটি এবং বহন করতে পারে ১০০ কেজি ওজনের এয়ার-টু-সারফেস উইপন। এসব উইপনের মধ্যে ক্ষেপনাস্ত্র বা বোমা রয়েছে।
একটি মোবাইল গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে উইং লুং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ডেটা কমিউনিকেশন লিংকের মাধ্যমে এই ড্রোন রিয়েল টাইম ‘ইনফরমেশন এন্ড কমান্ড’ সরবরাহ করতে পারে।ভারত যখন হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোন কিনতে আগ্রহী বলে খবর প্রকাশিত হচ্ছে তখন পাকিস্তান ইতোমধ্যে এ ধরনের ড্রোন পরিচালনা করছে।
ভারতের বেশ কিছু ড্রোন থাকলেও তা ছোট আকারের এবং মূলত নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হয়। দেশটি ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বড় আকারের আক্রমণ চালাতে সক্ষম ড্রোন কিনতে আগ্রহী। এ ধরনের যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রিডেটর’ ও ‘রিপার’ ড্রোন ইরাক ও আফগানিস্তানে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতকে ‘সার্চার্স’ ও ‘হেরন’ ড্রোন সরবরাহ করেছে ইসরাইল, যা সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে যেমন: নক্সাল-অধ্যুষিত এলাকায় ব্যবহার করা হয়।
পাকিস্তানের ড্রোন বহরে মাঝারি আকারের বিভিন্ন ধরনের ড্রোন যেমন: ফালকো, শাপার, বোরাক রয়েছে। প্রথম দুটি মূলত নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হলেও শেষেরটি হামলা চালাতে সক্ষম। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর