ড. মোহিত কামাল
ফেন্সিডিল, ইয়াবা এখন সর্বগ্রাসী। বেকার যুবক ও ছাত্রদের পাশাপাশি এখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররাও ইয়াবা, ফেন্সিডিল সেবন করে থাকেন। এতে নাকি তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। ডাক্তারদের এটা ভুল ধারনা। আজকাল ডাক্তারদের এ সব বিষয় পড়ানো হয় না। তাই তারা বুঝতে পারে না যে, তারা কত বড় ভুল করছে। এটার পরবর্তী কনসিকোয়েন্স সম্বন্ধে তারা জানে না। এটা মানব বিদ্যার একটি বিষয়। অনেক ডাক্তারদেরও নলেজের ঘাটতি আছে। যখন সে ফেন্সিডিল বা ইয়াবা গ্রহণ করে, তখন সে তার নিজের মধ্যে থাকে না। তাই নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনে। তার ব্রেন ম্যাকানিজম বদলে যায়। ব্রেনের ফাংশানাল সিস্টেম বদলে যায়। এতে করে সে অভ্যাসের দাস হয়ে পড়ে। সে তখন পারে না এমন কাজ নেই। এই মাদকের কবলে সব পেশাজীবী। অনেককে বলতে শোনা যায়, গাঞ্জা খাওয়া ভালো। গাঞ্জা খেলে মানুষ নির্মম হয়ে যায়। তার চেহারাও বদলে যেতে শুরু করে। নিজেকে, পরিবারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। গাঞ্জার ব্যবসায়ীরা তরুনদের লুফে নেয় এবং ভুল পথে চালিত করে। এটা ছাড়তে হবে। এর জন্য নতুন করে যেন আবার কেউ না খায় সে শপথ করতে হবে। ঘর থেকেই আন্দোলন শুরু করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কথা বলে যুব সমাজকে এই ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো। আমরা চেষ্টা করতে পারি মাত্র। কিন্তু এই পথে একবার কেউ পা দিলে তাকে ফেরানো দুষ্কর। এটি হাতাশা জনক। আমি একটা পরিসংখ্যান করেছি। বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল ষ্টাডিজ জানালে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে আছে ৫১% গাঞ্জা, ৩০% ইয়াবা আর বাকিরা ফেন্সিডিল খায়। এর থেকে সরে আসতে হলে জানতে হবে। নলেজ ইজ পাওয়ার। জ্ঞানের বিকল্প নেই।
পরিচিতি : মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসক
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :