উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটি অনুমোদন দেয়া ও কমিটি নিয়ে ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে ।
এ নিয়ে ওই ইউনিয়নে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এমনকি ছাত্রলীগ নেতারা ওই এলাকায় যাকে পাচ্ছে তাকেই মারধর করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা হচ্ছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রাতুল মৃধা, ফরিদ মৃধা, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, মোঃ স্বপন, মোঃ জাহিদ, মোঃ হাসিব, মোঃ আলামিন, মোঃ দীন ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও মির্জাগঞ্জ থানার এসআই মোঃ সাইদুর রহমান ও মোঃ নজরুল ইসলাম।
এদের মধ্যে ১০জন ছাত্রলীগ কর্মীকে পটুয়াখালী ও মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা অ-ছাত্রকে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন ষ্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকালে উপজেলার মনোহরখালী ফেরীঘাট এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির উপস্থিতিতে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ মনির ফকির স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে দু’জনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে উভয়ে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে দু’পক্ষের ৫জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিব মৃধার নেতৃত্বে শতাধিক মটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে দেখা করে ফেরার পথে উপজেলার পায়রাকুঞ্জ মনোহরখালী হাই স্কুলের সামনে পৌঁছলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা একাত্রিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ ৮জন আহত হয়।
এব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আমি ও সাধারণ সম্পাদক পটুয়াখালীতে ছিলাম। নেতাকর্মীরা মনোহরখালী হাই স্কুলের সামনে পৌঁছলে মোঃ নাসির হাওলাদারের লোকজন আমার ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ৫ কর্মী আহত হয়।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আবুল বাসার নাসির হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি (০১৭৪৯২৭৬৬৫৯) বন্ধ পাওয়া যায়।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন বলেন, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক।সম্পাদনা: উমর ফারুক রকি
আপনার মতামত লিখুন :