লিহান লিমা: সম্প্রতি সারা বিশ্বজুড়ে সম্পদের বিপুল বৈষ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অক্সফাম’। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে বিশ্বের অর্জিত ৮২ ভাগ সম্পদই ১ ভাগ ধনীদের হাতে কুক্ষিগত রয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ‘২০১৮ সালে বিশ্বের ৪২ জন ধনীর সম্পদের পরিমাণ হবে অর্ধেক দরিদ্র জনগোষ্ঠির সম্পদের সমান। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬১তে। অর্থাৎ দিন দিন সম্পদের কুক্ষিগত হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে। শীর্ষ ১২ ধনীর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রতি ২ দিনে ১জন করে মানুষ বিলিয়নার হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে ২ হাজার ৪৩ জন বিলিয়নার রয়েছে। এ বিলিয়নারদের সম্পদ গত এক বছরে ৭৬২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর দরিদ্রতম ৩৭০ কোটি মানুষের বার্ষিক সম্পদের কোনো উন্নতিই হয়নি।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধনী-গরীবের বর্তমান বৈষম্য ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
অক্সফামের প্রধান নির্বাহী মার্ক গোল্ডারিং বলেন, ‘এই পরিস্থিতি মেনে নেয়ার মত না।’ অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিমা বলেন, ‘হাতে গোনা কিছু মানুষের হাতে এত সম্পদ থাকা অনুচিত, কারণ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০ জনের একজন প্রতিদিন দুই ডলারেরও কম দিয়ে জীবনযাপন করছে।’
অক্সফাম আরো জানায়, ‘কর ফাঁকি, আর্থিক নীতিমালার ওপর সংস্থাগুলোর প্রভাব, কর্মীদের অধিকার খর্ব এবং বৃহৎ পরিমাণে আর্থিক কেলেঙ্কারি এই বিপুল বৈষম্যের কারণ।বৈষম্য কমাতে কর ফাঁকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং শ্রমিকদের মজুরি নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।’ বিবিসি,ফরচুন।