সাইদুর রহমান: মাশরুম একটি আসমানী খাবার তথা জান্নাতী খাবার। আবার চিকিৎসা উপকরণও বটে। আমাদের দেশে মাশরুম চাষ হয় খাদ্য হিসেবে। কিন্তু এখনও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়নি। এ বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার।
হাদীস অনুযায়ী আমল করলে অবশ্যই উপকার হবে। চক্ষুরোগে আক্রান্ত প্রায় সকলেই। চশমাই শেষ পরিণতি। তাছাড়া ছানিপড়াসহ আর বিভিন্ন রোগ রয়েছে। গবেষণা করলে অবশ্যই এসব রোগের প্রতিষেধক বের হয়ে আসবে মাশরুম থেকে।
এ বিষয়ে তিরমিযী শরীফের হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজওয়া (খেজুর) হচ্ছে জান্নাতের খেজুরবিশেষ এবং এর মধ্যে বিষের প্রতিষেধক রয়েছে। মাশরুম হলো মান নামক আসমানী খাবারের অন্তর্ভুক্ত এবং এর পানি চক্ষুরোগের প্রতিষেধক। (তিরমিযী , হাদীস নং ২০৬৬ মিশকাত ৪২৩৫)।
অন্য আরেক হাদীসে এসেছে, সাঈদ ইবনু যাইদ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাশরুম মান্নের (তথা জান্নাতী খাবার বিশেষ) অন্তর্ভুক্ত। এর পানি চোখের জন্য নিরাময়। তিরমিযী , হাদীস নং ২০৬৭, বুখারী, মুসলিম।
মাশরুম ব্যবহার নিয়ে একটি হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি তিনটি অথবা ৫টি অথবা ৭টি মাশরুম নিয়ে এর রস বের করলাম, তারপর রস টুকু বোতলে রেখে দিলাম, তারপর তাদ্বারা আমার এক দাসীর চোখে সুরমা লাগালে তার চোখ ভাল হয়ে গেল। তিরমিযী, হাদীস নং ২০৬৯