রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আটক করে শাস্তির দাবিতে বেলকুচি-সিরাজগঞ্জ সড়কে পরিবহন মালিক সমিতির অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট চলছে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে গতকাল শনিবারেও কোন বাস মিনিবাস সড়কে চলছে না। এই ধর্মঘটে অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছে ৩০ কিলোমিটার জুড়ে জেলা শহরের সাথে সংযুক্ত প্রধান এই রাস্তা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
সিরাজগঞ্জ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জিন্নাহ-আল মাজি জানান, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারে প্রতিবাদে অন্যায়ভাবে এই সড়কে চলাচল রত আমাদের গাড়িতে হামলা ও অগ্নীসংযোগ করে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর আমরা কোন সুষ্ঠু বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়েই সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর রুটে বাস, মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করি। দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা না হলে জেলাব্যাপী এ আন্দোলন করা হয়ে।
এদিকে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিসংযোগ হওয়া হেমা পরিবহনের মালিক হাসানুর ইসলাম বাদী হয়ে ২জন নামসহ ২৫জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, এঘটনায় এখনো কাউকে অটক করা হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাসের দায়ের করা মামলায় ডিবি পুলিশের দল বিশেষ অভিযানে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক এস.এম.ওমর ফারুক সরকারকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে রেজা ও ফারুকের সমর্থকরা বেলকুচি উপজেলা সদরের রাস্তাঘাটে বেড়িকেড দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ও বাস-ট্রাক ভাংচুর ও হেমা পরিবহন বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
আপনার মতামত লিখুন :