শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:২৮ সকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমদানি বন্ধ হলে মাংস রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ : আইনুল হক

ফারমিনা তাসলিম : অল্প পরিমানে বাংলাদেশ থেকে মাংস রফতানি হচ্ছে। কমেছে গরুর মাংসের ওপর ভারতের ওপর নির্ভরতা। উন্নত মানের গরু লালন পালনেও সুবিধা বাড়ছে। একই সঙ্গে আমদানি বন্ধ হলে কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের রফতানি পণ্য তালিকায় মাংস যুক্ত হবে। এমন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে গরু ও মাংস আমদানি বন্ধ হলে অচিরেই বাংলাদেশ মাংস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে খ্যাতি লাভ করবে।

প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, আধুনিক ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে প্রাণীজ ও আমিষের উৎপাদনের জনপ্রিয়তা বাড়াতেই তারা এধরনের আয়োজন করেছেন।

কী কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের এইবারের আয়োজনে ?

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, অধিক উৎপাদনশীল গরু আমাদের দেশে ইতিমধ্যে প্রচলন করেছি। এটার উৎপাদন শুরু হয়েছে যেটাকে ব্রাহ্মা অর্থাৎ আমাদের দেশে গরু ১’শ কেজি গড়ে মাংস দেয়। সেখানে ব্রাহ্মা জাত ৭’শ থেকে ৮’শ কেজি মাংস দিয়ে থাকে। বিগত তিন বছর ভারতের গরু আসা অনেকটাই নিষিদ্ধ। এ কারণে আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে গরুর লালন-পালনের প্রসার ঘটেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ খামার মাংসের গরু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে উৎপাদন খরচটা কমিয়ে আনতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস।

বাংলাদেশে মাংসের চাহিদা কী খামার থেকে আসা মাংসের যোগানে মিটানো সম্ভব ?

জবাবে আইনুল হক বলেন, অবশ্যই এটা দৃঢ়ভাবে বলতে হয় আমরা এটা উৎপাদন থেকে মিটাচ্ছি। আমরা আশাবাদী এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ভারত বা অন্য দেশ থেকে গরু এবং মাংস আসা বন্ধ রাখতে হবে। দেশের উদীয়মান শিল্প এবং ব্যাপকভাবে খামারিরা, বেকার যুবকরা, শিক্ষিত যুবকরা গবাদি পশু লালন-পালনে এসেছে এটা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে।

প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে এছাড়া আর কী কী ধরনের কার্যক্রম করার পরিকল্পনা রয়েছে ?

জবাবে আইনুল হক বলেন, প্রাণী সম্পদে আমরা বলে থাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ডিমেও স্বয়ংসম্পূর্ণের কাছাকাছি। বছরখানেকের মধ্যে আমরা ডিমেও স্বয়ংসম্পূর্ণে যাব। মানুষের বিভিন্ন ডিজিজ এবং পাবলিক হেলথ এগুলোতে কাজ হচ্ছে। স্ট্রিট ফুড বা অ্যানিমল ওরিজন ফুড মানুষকে সরবরাহ করার জন্য কাজ করে থাকি। অনেক মানুষ এ সম্পর্কে জানে না। মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য সেটা প্রাণী সম্পদ থেকে আসে। মানুষ সে সম্পর্কেও ততটা সচেতন না। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর নিরবে এসব কাজ করছে। খাদ্য সরবরাহ এখন লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। দারিদ্র বিমোচনের একটি হাতিয়ার হতে পারে। নারীর ক্ষমতায়ন হতে পারে। এসব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্যে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহের আয়োজন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়