আ্সাদুজ্জামান স¤্রাট : দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের এক ছাতার নিচে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিল ২০১৭’ সংশোধিত আকারে পাসের সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ বিল পাসের সুপারিশ সম্বলিত রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু। কমিটি বিলটি সংশোধিত আকারে পাস করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স, অনুমতি, ছাড়পত্র বা পারমিট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে এ আইন পাসের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কোনো ব্যক্তি এ আইনের অধীনে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো আবেদনের নিস্পত্তি না করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
গত বছরের মে মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিলের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেই নতুন এ আইন করা হচ্ছে। বিলটি পাস হলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ‘কেন্দ্রীয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
ট্রেড লাইসেন্স, জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, পরিবেশ ছাড়পত্র, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ, টেলিফোন-ইন্টারনেট সংযোগ, বিস্ফোরক লাইসেন্স, বয়লার সার্টিফিকেটসহ ২৭টি ক্যাটাগরিতে এসব সেবা দেওয়া হবে। এক জায়গায় বসেই যাতে এসব অনুমোদন পাওয়ো যায়, সে সুযোগ থাকবে আইনে। এ আইন হলে কোনো বিনিয়োগকারীকে আর প্রাথমিক অনুমোদন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানিকতার জন্য অফিসে অফিসে ঘুরতে হবে না। যে কোনো জায়গায় বসে অনলাইনেই স্বল্পতম সময়ে সেবা পাওয়া যাবে এবং নতুন ব্যবসা শুরুর জটিলতা অনেকাংশে লাঘব হবে। বিনিয়োগকারীদের কোন সেবা কত দিনের মধ্যে দিতে হবে তা বিধি দিয়ে নির্ধারণ করা হবে।