সাইদা মুনীর: অস্ট্রেলিয়ায় চলতি বছর প্রথম জন্ম নেয়া শিশু মুসলিম হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বর্ণবাদী হামলার শিকার হয়েছে। খবর দৈনিক জং উর্দুর।
বৃটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের তথ্য অনুযায়ী, মুসলিম নারী নাইমি তামকা পহেলা জানুয়ারি ১২টা ৪৫ মিনিটে একটি বাচ্চা জন্ম দেন। তখনই শিশুটি ২০১৮ সালের প্রথম শিশু উপাধি লাভ করে। কিন্তু শিশুটি ও তার পরিবারকে মুসলিম হওয়ায় ব্যাপক বিতর্কে পড়তে হয়।
বছরের সূচনায় প্রথম জন্ম নেয়া শিশুকে অস্ট্রেলিয়ায় এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এবার প্রথম জন্ম নেয়া শিশুটি মুসলিম হওয়ায় তাকে নিউ ইয়ার বেবি উপাধি দেয়া উচিত কিনা এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। শিশুটি জন্ম নেয়ার পর স্থানীয় মিডিয়াগুলো ওই পরিবারের সঙ্গে উল্লাস করে এবং শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করে।
শেয়ার করা ওই ছবিগুলো দেখতেই সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর লোকেরা সমালোচনা শুরু করে। ছবিতে আসিলের মা হিজাব পরা থাকায় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এই মহিলা স্কার্ফ পরেছে কেন, তার কি ক্যান্সার হয়েছে?’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আরেকটি সন্ত্রাসী জন্ম নিল।’ এমন নানা তীর্যক মন্তব্য একের পর এক আসতে থাকে।
বিরতিহীন এসব বর্ণবাদী মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আসিলের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট শেয়ার করেছেন। এতে তিনি প্রথম জন্ম শিশু আসিলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তার কাছে সব শিশুই সমান।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। তাই তার সব অধিকারও আছে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার এক এনজিও মত দিয়ে বলেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলমান নেতিবাচক মনোভাব থেকে ফুটে উঠেছে এখনো মানুষের মধ্যে কী পরিমাণ বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :