সদিচ্ছা থাকলে গুচ্ছ পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব : রাশেদা কে চৌধুরী
আশিক রহমান : উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যেভাবে বিভিন্ন তারিখে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটি করতে হয়, বিশেষ করে মেয়েদের এবং তাদের অভিভাবকদের তা অনেক কষ্টকর। অনেক ব্যয়বহুল। সে কারণেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে, এটাকে আমি স্বাগত জানাই।
আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও নারী আন্দোলন কর্মী রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে গেলে হয়তো কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে শিক্ষার্থীদের জন্য, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সমস্যা তৈরি হয়। মেডিকেল কলেজগুলোতে তো এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে আগে থেকেই। প্রথম দিকে অনেকেই এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে বলেছিলেন এটা হবে না, পারবে না কিন্তু সদিচ্ছা ও যথাযথ কৌশল গ্রহণ করলে বাস্তবায়ন করা যায়। আমার মনে হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করে দেখা দরকার।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে গেলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই অনেক সময় আপত্তি করে। ভর্তি ফি’র জন্যই এই আপত্তিটা করে বলে মনে হয় আমার। বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা সহজ হবে না। এখানেও সদিচ্ছার ব্যাপার রয়েছে। সদিচ্ছা থাকলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলেই আমি আশা করছি।
তিনি বলেন, এখানে আসলে সমঝোতার একটা ব্যাপার আছে। স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর হস্তক্ষেপ হবে কিনা আইনবিদরা বলবেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিষয়টি যদি দেখা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।