শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০১৭ সাল ছিলো ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর

তানভীর আহমেদ: দেশের অর্থনীতিতে চলতি বছর ছিলো ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর এমনটাই মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ২০১৭ সালের সালতামামি নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

দেবপ্রিয় বলেন, আমাদের সমগ্র সূচক দেখাচ্ছে যে, সাম্প্রতিককালে ব্যাংকিং ব্যবস্থা দূর্বলতম অবস্থায় রয়েছে। সব ধরণের ব্যাংকে কু-ঋণের পরিমান বেড়ে চলেছে। ব্যাংকগুলোতে আগের চেয়ে আরো বেশি পুঁজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে জমার পরিমাণ কমেছে। আবার আমানতের বিপরীতে গ্রাহককে যে পরিমাণ সুদ দেয় তার থেকে বেশি পরিমাণে সুদ আদায় করা হচ্ছে। এটা গ্রাহকদের বিরুদ্ধে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় পাওয়া ব্যাংকগুলো অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে মুদ্রা চুরি হয়ে গেল; তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো বিদেশে টাকা পাচার করার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের অক্ষমতা, নির্লিপ্ততা এবং রাজনৈতিক নের্তৃত্বের অদূরদর্শীতা প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে এর সংস্কারমূলক সমাধান হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

নতুন বছরের জন্য তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখতে হবে। দেশের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ আরো সচল করতে হবে। চলমান বৃহত্তর অবকাঠামো প্রকল্পের কাজগুলো দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। বৈদেশীক খাতে বিশেষ করে রপ্তানি এবং রেমিটেন্স খাত নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। এগুলোকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য যাতে স্থিতিশীল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়