ফারমিনা তাসলিম : একের পর এক জেলায় ফাঁস হচ্ছে প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন। অথচ তা কোনোমতেই বন্ধ করতে পারছে না প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাথমিকের প্রশ্নফাঁসে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই নিকৃষ্ট বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে কোমলমতি শিশুদের। যা তাদের মধ্যে অপরাধের মনোভাব তৈরি করবে।
নাটোর সদরে ১৭ ডিসেম্বর রোববারের সকাল ১০ টায় প্রাথমিক সমাপনীর গণিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। অথচ পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে সকাল ৮টায় নাটোর সদরে ছড়িয়ে পড়ে চতুর্থ শ্রেণির গণিতের প্রশ্নপত্র। জেলা প্রশাসন পরীক্ষাটি বাতিল করে দেয়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা বলেন, হাতের লেখা ফটোকপি করে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে প্রশ্ন পৌঁছানো হয়েছে। একজন প্রথম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী তার মৌলিকত্ব যে শিখবে সেটা সে হারিয়ে ফেলবে। তাহলে সেটার একটা সঠিক তদন্ত করা দরকার।
এরকম সারাদেশের অনেকগুলো জেলায় প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নফাঁসের জন্য পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। যা নিয়ে আঞ্চলিকভাবে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এখনও প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী বলেন, প্রশ্নফাঁসে কোন ধরণের অসৎ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষাবিদরা বলেন, শিশুদের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস জাতির জন্য লজ্জার। এতে ছোটবেলা থেকেই শিশুরা অপরাধের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিশু বয়সের প্রথম ধাপে যদি অপরাধবোধটা জন্মায় সেটা তাদের ওপর বিরূপপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
চলতি বছর এসএসসি এবং জেএসসির পরীক্ষারও প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এর তদন্ত এখনো চলছে। যদিও এর কোনো সঠিক সমাধান কর্তৃপক্ষ এখনো করতে পারেনি।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :