শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: দাউদকান্দিতে বাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু'জন আপন ভাইবোন। এ ঘটনায় এক শিশু, অটোরিকশার চালকসহ আরো চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-পেন্নাই-মতলব সড়কে উপজেলার কবিচন্দ্রদি শেখ বাড়ির কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দাউদকান্দি উপজেলার কাউয়াদি গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (৩৫), তার বড় বোন দাউদকান্দি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আনু মিয়ার স্ত্রী সালেহা বেগম (৪৫) ও কুমিল্লার আফারকান্দা গ্রামের রোহানা আক্তার (৩৩)।
নিহত আল-আমিনের প্রতিবেশী আক্তার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, আল আমিন তার বোনকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তারা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। দাউদকান্দির পেন্নাই থেকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি উপজেলার কবিচন্দ্রদি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী জৈনপুরী পরিবহনের একটি বাস ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেলে আল আমিন ও তার বড় বোন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ওই অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে আরেক যাত্রী রোহানা আক্তারের মৃত্যু হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সেজুতি আক্তার বলেন, আহত সবার অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ব্রিলটন ঘোষ বলেন, নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা থানায় পৌঁছালে এ ঘটনায় আইনানুগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জৈনপুরী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি আটক করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/একে