স্টারলিংকের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নিকোলস জানান, বিভ্রাটটি প্রায় দুই ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় এবং বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের অন্তত ৬০ লাখ ব্যবহারকারী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি বলেন, ‘স্টারলিংকের মূল নেটওয়ার্ক পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কিছু অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারে ত্রুটি ছিল, যার কারণেই এই বিভ্রাট দেখা দেয়। আমরা এই সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখিত। স্টারলিংক সবসময় নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
স্পেসএক্সের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। এতে বিশ্বের বহু দেশ ও অঞ্চলে লাখো ব্যবহারকারী হঠাৎ ইন্টারনেট সংযোগ হারান। প্রায় আড়াই ঘণ্টা তারা ইন্টারনেটবিচ্ছিন্ন ছিলেন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্টারলিংকের শীর্ষ নির্বাহীরা, এমনকি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কও।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) থেকে এ বিভ্রাট শুরু হয় বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট বিভ্রাট পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর। ওই সময় ওয়েবসাইটটিতে ৬১ হাজারের বেশি বিভ্রাট রিপোর্ট জমা পড়ে।
অন্যদিকে, নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইলন মাস্ক লেখেন, ‘এই বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত। স্পেসএক্স এর মূল কারণ খুঁজে বের করে তা চিরতরে সমাধান করবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় পরিসরের এই বিভ্রাট স্টারলিংকের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এটি সফটওয়্যার ত্রুটি, ব্যর্থ আপডেট বা সাইবার আক্রমণের ফল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে স্পেসএক্স পৃথিবীর কক্ষপথে ৮ হাজারের বেশি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এই সেবা বর্তমানে গ্রামাঞ্চল, সামরিক বাহিনী, পরিবহন খাত এবং দুর্বল নেটওয়ার্কসমৃদ্ধ এলাকায় ব্যাপক চাহিদার মুখে পড়েছে। চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজ আরও জোরদার করেছে।