স্পোর্টস ডেস্ক : এজবাস্টনে কখনও জিততে পারেনি ভারত। এখানে আটটি টেস্টের মধ্যে একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি টিম ইন্ডিয়া। এবার কিন্তু এই পরিসংখ্যান বদলানোর সুযোগ এসে গিয়েছে শুভমান গিলদের সামনে। তাঁরা কি পারবেন ইতিহাস বদলাতে? এর উত্তর পেতে গেলে রোববার (৬ জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ইংল্যান্ডের সামনে ভারত লক্ষ্য রেখেছে পাহাড়প্রমাণ ৬০৮ রানের। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে ৭২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে পরিত্রাহি অবস্থা ইংরেজদের। পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের জেতার জন্য দরকার ৫৩৬ রান। ভারতের প্রয়োজন ৭ উইকেট।
প্রথম ইনিংস দেখে বোঝা গিয়েছিল, নতুন বলে রীতিমতো ফুল ফোটাতে পারেন মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সিরাজ-আকাশের জুটিকে সামলাতে হিমশিম অবস্থা হল ডাকেট, রুটদের। জ্যাক ক্রলি (০)-কে কার্যত শট খেলার আমন্ত্রণ জানিয়ে সাজঘরে ফেরালেন সিরাজ। এরপর আকাশ দীপ ফেরান মারমুখী মেজাজে থাকা বেন ডাকেটকে। তিনি করেন ১৫ বলে ২৫ রান। জো রুট (৬)-কেও আউট করেন আকাশ। চতুর্থ দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন অলি পোপ (২৪) এবং হ্যারি ব্রুক (১৫)।
এর আগে অবশ্য ফের ‘শুভমান শো’ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ১৬১। এই সেঞ্চুরির পর এলিট ক্লাসে বসে পড়লেন তিনি। যদিও চতুর্থ দিনের শুরুটা কিন্তু তেমন একটা ভালো হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। সাত তাড়াতাড়ি ব্যাট হাতে নামতে হয় তাঁকে। কারণ মাত্র ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন করুণ নায়ার।
হাফসেঞ্চুরি করলেও বড় ইনিংস গড়ার আগেই আউট হয়ে যান কেএল রাহুল (৫৫)। এরপর ঋষভ পন্থ (৬৫)-কে নিয়ে ১১০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গিল। তবে পন্থ আউট হলেও টলানো যায়নি গিলকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা (৬৯*)। এরপর ছয় হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন নীতীশ রেড্ডি (১)। ওয়াশিংটন সুন্দর অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংস ৬ উইকেটে ৪২৭ রানে ডিক্লেয়ার করে ভারত। এর পরেই দুই ভারতীয় পেসারের দাপটে নাজেহাল অবস্থা হয় ইংল্যান্ডের। ভাগ্য সহায়ক হলে আরও উইকেট পেতে পারতেন তাঁরা। তবে, পঞ্চম দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পূর্বাভাস কিন্তু ভারতের ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বড় বাধা।