স্পোর্টস ডেস্ক: আবারো অলিম্পিকে নারীদের ইভেন্টে পুরুষ অ্যাথলেট খেলার বিতর্ক উঠলো। বক্সিংয়ে চীনের ইউ-টিংয়ের পর এবার আলোচনায় আলজেরিয়ান ইমানে খেলিফ। তাকে নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে আইওসি।
মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে ম্যাচ জিতেছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই হচ্ছে বেশি। তিনি আলজেরিয়ান বক্সার ইমানে খেলিফ। নারীদের ওয়েল্টার ওয়েট ইভেন্টের শেষ ষোলোর ম্যাচের পর খেলিফের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকের চোখে তিনি পুরুষ। তার হাতের ঘুষি খেয়ে তাই মনে হয়েছিলো ইতালিয়ান প্রতিপক্ষ অ্যাঞ্জেলা কারিনিওর। কিন্তু সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। - চ্যানেল২৪
সংস্থাটির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেন, খেলিফ মেয়ে হিসেবেই জন্ম নিয়েছে। বড় হয়েছে, নাম নিবন্ধন করেছে। সে একজন নারী হিসেবেই বক্সিং শিখেছে। পাসপোর্টেও তাই। এটা কোন ট্রান্সজেন্ডার কেস নয়। বৈজ্ঞানিকভাবেও এটা কোন পুরুষ বনাম নারীর লড়াই নয়।
খেলিফকে বায়োলজিক্যাল মেল বলা হচ্ছে মূলত তার শরীরে অতিরিক্তি হরমোনের কারণে। যা একজন স্বাভাবিক নারীর তুলনায় অনেক বেশি। গেলো বছর ডিএনএ ও হরমোন লেভেলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায় বাদ পড়েছিলেন ভারতে হওয়া বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে।
সে আসরের আয়োজক ছিলো আন্তর্জাতিক বক্সিং ফেডারেশন। কিন্তু অলিম্পিকের আয়োজক আইওসির চোখে অ্যাথলেটদের হরমোন তাদের লিঙ্গ নির্ধারণে মাপকাঠি নয়। তাই দাবি উঠলেও আসর চলাকালে খেলিফকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় সংস্থাটি।
মার্ক অ্যাডামস বলেন, আইওসি স্পষ্ট করে বলেছে আর আমারও মনে হয় কেউ চাইবে না আসর চলাকালীন নিয়ম পরিবর্তন হোক। এটা কেউ করতেও পারবে না। আর ওতো কোন বিতর্ক ছাড়াই টোকিও অলিম্পিকে খেলেছে।
অবশ্য খেলিফকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না পরের ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ লুকা হামোরি। ৬৬ কেজির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে হাঙ্গেরিয়ান বক্সার জানিয়েছেন, জয়ের জন্যই নামবেন তিনি। আর খেলিফ সত্যি পুরুষ হলে সে জয় হবে তার বড় অর্জন।
এলআরবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :