সালেহ্ বিপ্লব: সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান এবং ১৬ জানুয়ারির মিছিল-সমাবেশের পর এটি হবে বিএনপি ও সমমনাদের যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচী। তবে আজ জামায়াত থাকছে না মাঠে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন করেছিলো। সেই দিনটিকে মনে করিয়ে দিয়ে বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে দেশের সব বিভাগ ও জেলা সদরে আজ সমাবেশ ও মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনারা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে মির্জা ফখরুল ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। দেশব্যাপী সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় গেছেন।
বিএনপির পাশাপাশি বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, দুপুর ২টায় এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, বিকাল ৩টায় বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির কাছে ১২ দলীয় জোট এবং বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সমাবেশ করবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কমর্সূচী ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছিলো। সেদিন থেকেই বিএনপির সঙ্গে তাদের মনোমালিন্য চলছে। জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের আমীরকে গ্রেপ্তার এবং ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীতে জামায়াতের গণমিছিলে পুলিশের হামলার বিষয়ে বিএনপি কোনো বিবৃতি দেয়নি। সেটাই সম্পর্কের অবনতি ঘটার মূল কারণ বলে দাবি করছে রাজনৈতিক সূত্রগুলো।
এমএএস
আপনার মতামত লিখুন :