শিরোনাম
◈ হারুন সহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ ইউরোপ ভ্রমণে কড়াকড়ি, গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা! কোথায়, কীভাবে, কত টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে? ◈ ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বার্তা ফাঁসকারী সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ◈ বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস ◈ ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকের জন্য হোয়াইট হাউসের পথে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা ◈ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নানা চ্যালেঞ্জ, পারবে কি কমিশন? ◈ সেন্টমার্টিন নিয়ে গুজব-সত্যের দ্বন্দ্ব: পর্যটন বন্ধ, দুর্ভিক্ষে দিশেহারা দ্বীপবাসী! ◈ সরকারি দপ্তর থেকে কারও ছবি সরিয়ে ফেলার লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব ◈ যে কারণে বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়ান বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন! ◈ ম‌্যান‌চেস্টার ইউনাইটেডকে হা‌রি‌য়ে ইং‌লিশ লি‌গে শুভ সূচনা আর্সেনালের

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোট রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ খুঁজছে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের ভোট টানাই প্রধান লক্ষ্য

জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার ছায়াতলে থেকে রাজনীতি করেছে। ‘কিংমেকার’ বা ‘কিংস পার্টি’ থেকে পেয়েছে ব্যাপক সুবিধা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, দ্বিচারিতা, অভ্যন্তরীণ বিরোধ, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এবং সাংগঠনিক দুর্বলতায় দলটি গুরুত্বহীন। তবে আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে দল গোছাচ্ছে। জিএম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাপার দুই অংশেরই উদ্দেশ্য জোট। পরোক্ষভাবে অংশ দু’টি জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গেও যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। 

রাজনীতির মাঠে নতুন সমীকরণে আসতে চাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সম্প্রতি টুকরো হওয়া দলটির দুটো অংশই (জিএম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ) কৌশলে রাজনৈতিক  শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন কিন্তু পদপদবিতে নেই- এমন ব্যক্তিদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছেন। উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের ভোট বাগে আনা।

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরপন্থি একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন সৃষ্ট পথে আওয়ামী লীগকে আনতে চায়। জাতীয় পর্যায়ের থেকে আঞ্চলিক পর্যায়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সিলেট ও খুলনার কিছু অংশে শক্তিশালী হতে চাইছে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চোখ রাখা হচ্ছে।

জিএম কাদেরের সহচর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। দলের পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু লোক চলে যাওয়ায় কিছুটা চাপে তো পড়েছেই। এখন আমরা আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকা কিংবা উচ্চ আসনে না থাকা প্রভাবশালী নেতাদের ভেড়াতে চাচ্ছি। নৌকার ভোটগুলো লাঙ্গলে আনাটাই লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারলে ও পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে জোটবাঁধা হতে পারে। আর তা না হলে প্রভাবশালী যেমন জামায়াত কিংবা ছোট ছোট ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

জিএম কাদের সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। একইভাবে এখন বলছি, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই জাপার ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। একদিকে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন, অন্যদিকে রওশন এরশাদের অনুসারীদের আলাদা অবস্থান- এসব কারণে দলে বিভক্তির রেখা স্পষ্ট। শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সবশেষ জাতীয় পার্টির সিনিয়র একাধিক নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি গঠন করছেন।

তাদের পক্ষ গঠনের পর থেকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে আসছেন। বলে আসছেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কারণেই আওয়ামী দোসরে পরিণত হয়েছিলেন তারা। এই অংশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ইসলামী মতাদর্শ ও প্রগতিশীল ছোট দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যোগাযোগ রাখছে এনসিপি’র সঙ্গে।

এনসিপি’র নাম ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ক্ষমতা দিয়ে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই যোগাযোগ মূলত ’২৪-এর আন্দোলনে অংশ নেয়া জাপার ছাত্রনেতারা করছেন। তবে তাদের আপাতত মূল লক্ষ্য দলের বিভিন্ন অংশের নেতাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গঠন করা। 

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির (আনিসুল) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এখন আমরা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের শক্ত করার চেষ্টা করছি। জোট হতেই পারে, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনো কোনো ইতিবাচক ফল, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে। নির্বাচন কমিশন, সরকার কোনো দলকে বাড়তি সুবিধা দিলে তা বৈষম্য হবে। আওয়ামী লীগের ভোটসহ সুইং ভোটারদের ভোট রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এই ভোটগুলো আমাদের লক্ষ্য। জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় বিষয়টি নিয়ে আরও পরিষ্কার বলা যাবে। এ বিষয়ে জোরালো না হলেও প্রাথমিকভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়