রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পাঠাগার খুবই জরুরি। আমাদের মধ্যে এক ধরনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে যে, আমরা বই পড়তে চাই না। বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তারা বই পড়তে চায় না। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে পাঠাগারের দিকে আকৃষ্ট করতে পারলে রাজনীতি সমৃদ্ধ হবে।
[৩] তিনি বলেন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে শতফুল ফুটবে- সেই চিন্তা থেকে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
[৪] মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শনকালে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় জেলা বিএনপির নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদের নিজস্ব বাসায় এ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।
[৫] প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পারিবারিক লাইব্রেরি করেছিলাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। নতুন বই আসলেই পড়তে হবে। এখন তো মোবাইলে সব কিছু পাওয়া যায়। তবে মোবাইলে যা পাই, আর বইতে যা পাওয়া যায় তাতে অনেক পার্থক্য।
[৬] তিনি আরও বলেন, এই পাঠাগারে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বই রাখলেই হবে না। তার পাশাপাশি মহানবী (সা.) এর জীবনীসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা ও মনীষীদের জীবনী নিয়ে লিখিত বই রাখতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবী মানুষের জ্ঞান ভাণ্ডার প্রসারিত হয়।
[৭] এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তি, জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডা. জিয়াউর রহমানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :