রিয়াদ হাসান: [২] ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে ও জানমালের নিরাপত্তায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
[৩] রোববার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ক্রমান্বয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিক ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
[৪] তারা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
[৫] নির্দেশনা প্রদান করে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, রিমালের বিধ্বংসী প্রবণতা থেকে উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো-
[৬.১] উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষকে রিমালের ধ্বংসাত্মক প্রবণতা সম্পর্কে জরুরিভাবে সতর্ক করার প্রয়োজনে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
[৬.২] সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। গবাদিপশুগুলোকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। বাঁধ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
[৬.৩] শুকনো কিংবা রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখতে হবে।
[৬.৪] ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ইউনিটে অন্তত একটি রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।
[৬.৫] ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। ৬. নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :