রিয়াদ হাসান: [২] খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্রমিকদের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ নিয়ে কোনো রকম সময়ক্ষেপণ বা আইওয়াশ দেশবাসী মেনে নেবে না।
[৩] সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে উগ্র গ্রামবাসীর তাণ্ডবে দুই তরুণ হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং প্রশাসনের ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
[৪] তারা বলেন, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। এখানে অন্যান্য সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মকর্ম পালন করতে পারছে। কিন্তু উস্কানি দিয়ে কারা উগ্রতার বিষবাষ্প এখানে ছড়িয়ে দিতে চায় প্রশাসনকে সুস্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তা নির্মূল করতে হবে।
[৫] নেতৃদ্বয় বলেন, মন্দিরে কারা আগুন লাগিয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট না হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া এবং নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ। ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লী এলাকায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্মাণকাজে কর্মরত ২ শ্রমিককে হত্যা ও ২ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। এমনকি মুমূর্ষু শ্রমিকদের উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখার মত দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।
[৬] তারা আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং উস্কানিদাতা ও হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বদানকারী প্রভাবশালী যারাই হোক না কেন সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই।
[৭] খেলাফত মজলিসের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া যাবে না। এই ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা জনগণ ক্ষমা করবে না। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সরকারকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ফরিদপুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানে কোনোরকম টালবাহানা করা হলে জনগণ তার সমুচিত জবাব দেবে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরএইচ/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :