আকতার বানু আলপনা: কর্মক্ষেত্রে বসের হম্বিতম্বি, সহকর্মীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা বিরূপ আচরণ, কাজের চাপ, টাকা রোজগারের জন্য কঠোর পরিশ্রম এতোকিছু সহ্য করে পুরুষ আয় করে শুধু তার নিজের এবং তার পরিবারের সুরক্ষার জন্য। এতো প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পুরুষ যখন বাড়ি আসে, তখন তার অধিকার আছে, সে একটি সুন্দর শান্তিময় পরিবেশ পাবে, যেখানে তার সন্তান এবং মূলত তার স্ত্রী তাকে ভালোবাসা এবং যত্ন দিয়ে আরাম দেবে। অধিকাংশ স্ত্রীই এই কাজটি করেন, তবে সচেতনভাবে, আন্তরিকভাবে করেন না। অনেকটা দায়সারাভাবে করেন। অনেক স্ত্রীরা চেষ্টা করেও এই কাজটি করতে পারেন না তাদের কর্মদক্ষতার অভাব, আলসেমি এবং আন্তরিকতার অভাবের কারণে। কর্মজীবী নারীরা ইচ্ছা থাকলেও এই কাজটি সবসময় ভালোভাবে করতে পারেন না তাদের পেশাগত কাজের চাপ এবং সময়ের অভাবে।
অনেক স্ত্রী একটা বয়সের পর শারীরিক সম্পর্ককে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। ফলে স্বামীদের দৈহিক স্বাভাবিক চাহিদা অপূর্ণ থাকার কারণে তারা মানসিকভাবে অতৃপ্ত থাকেন। অনেক নারীরা আবার স্বামী বাড়ি আসার সাথে সাথেই রাজ্যের সমস্যা আর অভাবের একের পর এক ফিরিস্তি স্বামীর কাছে দিতে শুরু করেন। কেউ কেউ স্বামীর নানা দোষ ধরে সমালোচনা, তিরস্কার করতে শুরু করেন।...স্ত্রীদের এসব আচরণের কারণে একসময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধীরে ধীরে আন্তরিকতা, শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়। তখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা ‘সন্তানদের কথা ভেবে’ বা ‘একান্ত বাধ্য হয়ে’ একসাথে থাকা টাইপ হয়ে যায়। এর বিপরীতে স্বামীরা কী কী করেন? সেটা না হয় আরেকদিন লিখব। নারী দিবসে আপাতত, পুরুষের যত্ন নিন! ফেসবুক থেকে