শিরোনাম
◈ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হাইকোর্টের ◈ ভুল করবেন না, কোরআন সুন্নাহ বিরোধী প্রতিবেদন বাতিল করুন ◈ বিতর্কিত রান আউট, মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারের ওপর চড়াও শুভমান গিল ◈ আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করবে ভারত, জোড়া দাবি তুলবে নয়া‌দি‌ল্লি!  ◈ বিএনপি নেতার হুমকি কে পাত্তা না দিয়ে উল্টো ধমকালেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি (ভিডিও) ◈ পুলিশের সভায় ক্ষুব্ধ আসিফ আকবরের ভিডিও ভাইরাল! ◈ ২৩ বছ‌রের ক্রিকেটার সাই সুদর্শন ভে‌ঙে দি‌লেন শচীন টেন্ডুলকারের দুই রেকর্ড ◈ যুদ্ধ হলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে ◈ বা‌র্সেলোনার অ‌ধিনায়ক সাত মাস পর মাঠে ফিরছেন ◈ সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে হামলা করবে পাকিস্তান

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ১২:৪৮ রাত
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকার বিনিময়ে সুবিধা দেওয়া এবং সুবিধা কেনা

কাজী এম. মুর্শেদ

কাজী এম. মুর্শেদ: পাবলিক সার্ভিস কমিশনে প্রশ্ন ফাঁস করে আবেদ আলী সাহেব বলেছেন, যা আয় করেছেন সব আল্লাহর পথে খরচ করেছেন। এতো অলি টাইপের মানুষ, যিনি আল্লাহর পথ খুঁজে পেয়েছেন। কুয়াকাটায় সাগরে গেছেন, বিমানে আকাশ ঘুরেছেন, অবশেষে আল্লাহর পথে যে খরচ করেছেন তাহলো নিজের ছেলেকে সরকারি ছাত্র সংগঠনে পদ পাওয়া, উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়ানো, থ্রি-স্টার হোটেল করেছেন। এই হোটেলে যদি গরিব-দুঃখী মানুষকে বিনা পয়সায় থাকতে দেন, কিছু কাজ হবে। আজকাল যা অবস্থা, হয়তো এই থ্রি-স্টার হোটেল লিটনের ফ্লাটের মতো ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া দেন। 

এ ধরনের দুর্নীতিতে দুইপক্ষ থাকে, একদল টাকার বিনিময়ে সুবিধা দেন, অন্যপক্ষ সুবিধা কিনে নেন। এই যে প্রশ্ন বিক্রেতা এদের ১৭ বা আরো কিছু ধরেও আপনি কতোটা দুর্নীতি আটকালেন-যারা টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে এখন চাকরি করছে, তাদের নিয়োগ কীভাবে বাতিল করবেন? তারা হয়তো সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব বা উপ সচিব পদে বসে আছে, এদের নিয়ে কী করবেন? যেই টাকা বেতন বাবদ পেয়েছেন, সেটা কীভাবে উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেবেন? 
এ পর্যন্ত তিনবার কোটা আন্দোলনের সামনে পরলাম। ছেলেগুলোর সাথে কথা বললাম, এরা যথেষ্ট ক্লান্ত হলেও ভদ্র। কথাগুলো গুছিয়ে বলে। আমার মনে হয়েছে এরা যা বলছে তা ন্যায্য। কোনো মেয়ে সামনে পরেনি, হয়তো কথা বলতাম। তবে একটি ব্যাপার মনে পরলো, আগে যখন ঢাকা শহরে হরতাল দেখেছি, তখন একদল বের হতো ছিনতাই করতে। ছাত্র জনতা পিকেটিংয়ে ব্যস্ত থাকতো, অন্যদিকে একদল বের হতো রিকশা যাত্রী বয়েসী মানুষদের ঘড়ি, মানিব্যাগ, আংটি ছিনতাই করতে। এই কোটা আন্দোলনে এমন কাউকে যদি পান যারা মারধর করছে বা গালাগাল করে চড়াও হচ্ছে, বুঝে নেবেন সেই দলের বংশধর আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমে গেছে। 

কয়দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা প্রত্যয় পেনশন স্কিম নিয়ে নেমেছিলো, তাদের কোনো খবর নেই। উনারা কি ম্যানেজ হয়ে গেছে? উনারা আগে থেকেই ম্যানেজড ছিলো, একটু জানান দিলো যে আমরা আছি, আমরা মরি নাই, একটু খেয়াল রাখবেন। এই শিক্ষকদের শুরু থেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিবিএ মনে হচ্ছিলো, নিজেরা সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে লেনদেন করতে আম দুধ-ভাত খাবে আর সহযাত্রী যারা তাদের নেতা বানিয়েছিলো, তারা খালি আটি নিয়ে বসে থাকবে। লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়