দেবব্রত মুখোপাধ্যায়: আমাদের ক্রিকেটাররা হয়তো আপনাদের মন ভরানোর মতো করে জয় এনে দিতে পারে না, হয়তো রোজ রোজ সেঞ্চুরি করতে পারে না। সেজন্য তাদের সমালোচনা করুন। কিন্তু একেবারেই অন্যায়ভাবে এই মানুষগুলোকে নারীবিদ্বেষী বা সাম্প্রদায়িক বানাবেন না। আমি ১৬-১৭ বছর ধরে এই ক্রিকেটারদের খুব কাছ থেকে দেখেছি। যাদের আপনারা অভিযুক্ত করেন, এরা যে কতটা অসাম্প্রদায়িক এবং পরমত সহিষ্ণু, সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। জাতীয় দলে লিটন আছে, সৌম্য আছে। কোথাও ডিনারের দাওয়াত থাকলে এই রিয়াদ, মুশফিকই আগে আয়োজকদের বলেন, যেন বিফের বিকল্প কিছু থাকে; যেন সৌম্যদের টেবিলে বিফ না যায়।
ছোটরা অনেকসময় মজা করে। রিয়াদ ধমক দিয়ে বলেন, ‘ধর্ম আর খাবার নিয়ে রসিকতা করবি না।’ এই জেসি, আমাদের বন্ধুর মতো। আমি জেসির সাথে কাজও করেছি। আমি জানি, ওরা চলার পথে রিয়াদ, মুশফিক, তামিম, সাকিবদের কতটা সমর্থন পেয়েছেন। কেবল ব্যাট কিনে দেওয়ার মতো ব্যাপার নয়, জেসিদের ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টেও তারা অবদান রেখেছেন।
এদিনের ঘটনাটা মোটেও নারী বিদ্বেষী ছিলো না। ক্রিকেটাররা জেসির আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো আপত্তিই করেননি। করার কারণও নেই। জেসি যখন প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করতে নামেন, ম্যাচ শেষে এই রিয়াদ আর মুশফিকই তাদের অভিবাদন জানিয়েছিলেন। এদিন দুই দলের কর্মকর্তারা ‘অনভিজ্ঞ’ বলে জেসিকে নিয়ে আপত্তি করেছিলেন। জেসির প্রথম সিজন। প্রথম সিজনে মুকুল ভাই, সৈকত ভাইকেও এমন আপত্তি সহ্য করতে হয়েছে। এখানে নারী কোনো বিষয় নয়। আবারও বলি, প্রগতিশীল হতে গিয়ে ধর্মবিদ্বেষী হবেন না। রিয়াদ, মুশফিক ধর্মচর্চা করেন বলে তাদের ভিলেন বানানোর চেষ্টা করবেন না। জেনে রাখবেন, ওরা সবার আগে ভালো মানুষ। ২৮-৪-২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :