শিরোনাম
◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং ◈ নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কী তিক্ততার দিকে যাচ্ছে ◈ ভ্যাট-শুল্ক বৃদ্ধিতে রড থেকে প্লাস্টিক দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের ◈ মে মাসে এলো রেকর্ড ৩৬ হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স ◈ নগদের নিয়োগে অনিয়মের ‘সত্যতা মিলেছে’, স্ত্রীসহ আতিক মোর্শেদকে দুদকে তলব (ভিডিও) ◈ রেমিট্যান্সে নতুন মাত্রা: মে মাসে ৩৬ হাজার কোটি টাকার আয় ◈ পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য ঈদের আগে সুখবর ◈ শাহ সিমেন্টকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি টিআইবির ◈ সোমবার ৩ টায় বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ◈ জামালপুরে দেশের ৩০তম গ্যাসফিল্ড আবিষ্কার!

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক: জনগণ সাড়া দেয়নি

মাসুম বিল্লাহ: [২] রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ঈদের কেনা কাটা শুরু হয়েছে পুরোদমে। সরকার বিরোধী শিবিরের ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের’ আহবানের কতটুকু প্রভাব পড়েছে তা দেখতে রাজধানীর বিপনী বিতান ও সুপার শপ গুলোতে ঘুরে মনে হয়েছে জনগন এই ‘বর্জন’ আন্দোলনে মোটেই সাড়া দেয়নি। শুধু পোষাকপরিচ্ছদে নয়, নিত্যপণ্যের বেলায়ও একই চিত্র।

[৩]  জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর ‘ভারতীয়পণ্য বর্জনে’র ডাক স্পষ্টত:ই হালে পানি পায়নি। নির্বাচনে অংশ না নেয়া সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো কিনা সেটা ইতিহাসের বিচার্য বিষয়। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বাস্তব সম্মত ছিলো কিনা সেটা বিরোধী শিবির এখন হারে হারে টের পাচ্ছে।

[৪] ভারত বাংলাদেশের বন্ধু না শত্রু এ নিয়ে অহেতুক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সরকার বিরোধী শিবির।

[৫] বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ নানা সংকটে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত পাশে দাড়িয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভারত সরকার আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল ছিলো অথবা বিরোধী-দলের প্রতি বৈরী ছিলো এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু ভারতীয়পণ্য বর্জনের আহবানের মধ্য দিয়ে সরকার বিরোধী শিবির কি বার্তা দিতে চেয়েছে? এই বর্জন কর্মসূচী কতটুকু জনস্বার্থে কতটুকু নিছক ভারত বিরোধিতা সে বিষয়টি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে মনে হয়নি।

[৬] ভারতীয পণ্য বাংলাদেশের বাজারে না পাওয়া গেলে কোন দেশের পণ্য আমদানি করলে দেশবাসি সংকটাপন্ন হবে না সেটি বিরোধী শিবির থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। ‘পণ্য বর্জনের’এই ঘোষনার পর সংগতকারণেই এই আশংকা তৈরী হয়েছিলো যে বাজার অস্থিতিশীল হবে। সুযোগ বুঝে কালোবাজারি বা অসাধূ ব্যবসায়ীরা কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের পকেট কাটবে। কিন্তু না- সব শংকাই ভুল প্রমানিত হয়েছে। বাজারে কোনসংকট নেই। গণমানুষ এই “বর্জন” কর্মসূচীকে সমর্থন করেনি। 

[৭] বাংলাদেশের বাজারে যেসব ভারতীয় পণ্য বিক্রি হয় সেগুলো ভারত সরকার উৎপাদন করে না। ভারতের বিরাট কৃষক সমাজ নিত্য পণ্য উৎপাদন করে। ‘বর্জন’ কর্মসূচী ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে নাকি পণ্য উৎপাদনকারী কৃষক কুল বা শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে সেটা ভেবে দেখার অবকাশ আছে।

[৮] ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক প্রকান্তরে ভারত বিরোধী তারই বহিঃপ্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী পাকিস্তান আমলে ভারত জুজুর ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানীরা এই অঞ্চলের মানুষকে ভারত বিরোধী করার ব্যার্থ প্রয়াস চালিয়েছে। পাকিস্তানীদের আস্ফালন চূর্ণ করে বাংলাদেশের মানুষ মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছে। 

[৯] মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সাহায্য-সহযোগিতা কিছু সংখ্যক মানুষবাদ দিলে এদেশের জনতা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে হাজার হাজার ভারতীয় সৈন্য এ দেশের মাটিতে জীবন দিয়েছে। মুক্তি বাহিনী আর মিত্র বাহিনীর সদস্যদের পবিত্র রক্ত মিশে গিয়ে স্বাধীন দেশের মাটিতে রক্তসূর্য খচিত জাতীয় পতাকা উড্ডিয়মান হয়েছে। 

[১০] এ রক্তের বন্ধনকে যারা অস্বীকার করতে চেষ্ট করবে দেশের মানুষ তাদের অতীতে যেমন পরাভূত করেছে ভবিষ্যতেও করবে। দু’দেশের মৈত্রীর এই বন্ধনঅটুট থাকবে। নিজ নিজ দেশের স্বার্থে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবানকে অকার্যকর করে এদেশের মানুষ এই সত্যটিই আবার প্রতিষ্ঠিত করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়