সুজন কৈরী: [২] সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি) সৌমিত্র চাকমা।
[৩] প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা চাকমাকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিবাহ করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার ও স্টাফ অফিসার সৌমিত্র চাকমা। নিজের স্ত্রী থাকার পরও চট্টগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সমাপ্তি চাকমার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
[৪] স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি উদাসীন থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখাসহ ভরণপোষণও বন্ধ করে দেন সৌমিত্র চাকমা। এরপর ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি সমাপ্তি চাকমাকে বিবাহ না করেও বিবাহ করেছেন মর্মে মিথ্যা তথ্য দেন। পরে প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে সমাপ্তি চাকমাকে বিবাহ করেন সৌমিত্র। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। পরে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
[৫] একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয়।
[৬] প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তার মতামত অনুসারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে সার্বিক পর্যালোচনা শেষে সৌমিত্র চাকমাকে দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে এই মেয়াদের কোনো বকেয়া পাবেন না এবং এই মেয়াদ বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
প্রতিনিধি/কে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :