শিরোনাম
◈ ফলকার টুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট ◈ ভোলায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত নেতারা দল থেকে বহিষ্কৃত ◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:২৯ দুপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৯:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থপাচার মামলায় এনু ও রুপনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড, ৫২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড 

এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫২ কোটি ৮৮ হাজার ৭৮৮ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মামলায় ছয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

[৩] খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, মো. মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলু চন্দ্র দেব এদের মধ্যে মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলু চন্দ্র দেব পলাতক।

[৪] আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আমির হোসেন ‘আমাদের সময় ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

[৫] বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন- ‘যারা দুর্নীতিবাজ, মানিলন্ডার তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না। তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত চুরি করছে এবং আমাদের স্বপ্ন চুরি করছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা। এটা সত্য এদেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করে। তবে আমাদের উচিত তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা’।

[৬] উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাদের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সে সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তিন জনকে অব্যাহতি দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

[৭] ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ওয়ারী থানায় অর্থ পাচারের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়