মনজুর-এ আজিজ: [২] সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করণ, এনার্জি এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে তারা লাভবান হবেন। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের নন-রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর ডিরেক লোহের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
[৩] বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গাপুরে তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযাগ আছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক পণ্য নির্বাচন ও বাণিজ্য করতে পারে।
[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করেছে ১১৬.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছে ২,৪৬৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাণিজ্য ব্যাবধান কমাতে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরে রপ্তানি বাড়াতে চায়। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, ঔষধ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
[৫] সিঙ্গাপুরের নন-রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর ডিরেক লোহ বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পানি পথে পণ্য পরিবহনে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা দিতে পারে। পণ্যের অবাধ পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লজিস্টিকস, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সহজ করতে সহায়তা দেয়া সম্ভব। সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড সহযোগিতা প্রদান করতে পারে।
[৬] তিনি বলেন, বিভিন্ন শিল্পের উন্নত কাঁচামাল সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে সরবরাহ করে। ডিজিটাল অবকাঠামো ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। হালাল পণ্য রপ্তানিতে সিঙ্গাপুরের সার্টিফিকেশনসহ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বিদ্যমান রয়েছে, বাংলাদেশকে অভিজ্ঞতার আলোকে সহযোগিতা করা সম্ভব। এজন্য সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।