মাসুদ আলম : মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ১৯৯৯ সালে নতুন কোন অবকাঠামো নির্মাণ ব্যতিরেকে সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে সর্বমোট ২ হাজার ৯১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি এমআইএসটিতে ৮ টি বিভাগে এমএসসি, ৩ টি বিভাগে এমফিল এবং ৭ টি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে। আইএসপিআর
এমআইএসটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধাসহ ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩ ও ৪ এ্যাডমিন টাওয়ার এবং ঐধষষ ড়ভ ঋঅগঊ এর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। মঙ্গলবার ভবন সমূহের শুভ উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। উক্ত অনুষ্ঠানে এমআইএসটির প্রাক্তন কমান্ড্যান্টবৃন্দ, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপনাসমূহ উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিং এ একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। উদ্বোধনকৃত ফ্যাকাল্টি টাওয়ার সমূহে সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগার বিদ্যমান। যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
হল অব ফেম এর দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবধি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক সমূহ, সকল স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা সমূহের উল্লেখযোগ্য সাফল্য সমূহ। সম্মানিত সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ¦ালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।
নতুন উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি বিদ্যমান। উক্ত লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রায় চার হাজার বই সম্মলিত “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।
যাতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়ারগণ জাতির জনকের জীবন-কর্মকান্ড এবং স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে। একই সাথে লাব্রেরিতে আনুমানিক দুই হাজার পাঁচশত বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা”। যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
এমএ/এএ
আপনার মতামত লিখুন :