ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনকে জুলাই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় গ্রেপ্তার থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরানকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীকালে জুলাই আন্দোলনকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অটোরিকশাচালক মো. রনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল ইসলাম। বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন। এরপর ইমরানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হন অটোরিকশাচালক রনি। পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রনির মা মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরানকে গত ৩ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সাদিক অ্যাগ্রোতে ‘বংশ মর্যাদাসম্পন্ন গরুর’ দাম কোটি টাকা ও ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা চাওয়া নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। পরে সেই ছাগল ১২ লাখ টাকায় কেনার চুক্তি করেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। এর জেরে ইফাতের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তৎকালীন সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য আসে গণমাধ্যমে। এরপর সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়মের বিষয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে।