শিরোনাম
◈ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো সেই প্রধান শিক্ষিকা বরখাস্ত ◈ মব ভায়োলেন্সকে উৎসাহিত ও নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করবেন না, অন্যের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন: তারেক রহমান ◈ জুলাই গণভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা (ভিডিও) ◈ আইজিপির ভুয়া ভিডিও স্টেটমেন্ট এআই দিয়ে তৈরি: পুলিশ সদর দপ্তর ◈ অনিয়মের অভিযোগে বাতিল হলো ‘বিনিময়’ ◈ চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধে উত্তাপ, রাশিয়া-ইরান থেকে তেল কিনে চীনের ‘চ্যালেঞ্জ’ ট্রাম্পকে ◈ ‘বিপ্লব বিক্রি করে দিচ্ছে’: হাসিনার পতনের এক বছর পরও স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশে ◈ ভাইরাল অডিও: ঘুষ দাবির অভিযোগে এসআই চিরঞ্জীব ৬ ঘণ্টায় প্রত্যাহার ◈ কারফিউ, পথে পথে কাঁটাতারের বেড়া, ৫ই অগাস্ট ঢাকার সকাল কেমন ছিল? ◈ গণঅভ্যুত্থান দিবসে বেনাপোল বন্দরে আমদানি, রফতানি বন্ধ

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:১৬ দুপুর
আপডেট : ০৫ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন বন্দোবস্তে সবকিছু কি ওলটপালট হয়ে গেল?

মানবজমিন প্রতিবেদন: আগে জানতাম বিরোধীরা, মতলববাজরা গুজব ছড়ায়। আতঙ্ক তৈরি করে। এখন দেখছি সরকারও তাই করে। সৃষ্টি করে ভীতির। মাজেজাটা কী? নতুন বন্দোবস্তে সবকিছু কি পাল্টে গেল! কী হতে যাচ্ছে এই সপ্তাহে? বাজারে অনেক কথাই চাউর হয়ে আছে। ওয়েব দুনিয়ায় তো চাঞ্চল্যকর সব খবরাখবর। কেউ বলছেন, পতিত শক্তি ফিরে আসার নানা ফন্দি-ফিকির করছে। তারা নাকি ৫ই আগস্টের আগেই সবকিছু ওলটপালট করে দেবে। যদিও বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। একজন মেজরের ছক ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই অঙ্ক মেলাচ্ছেন নানা ভাবে। হাসিনার মসনদ কি ফিরে পাওয়া এত সহজ? ক্ষমতা হারানোর দিনে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার ইতিহাস পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। 

বাংলাদেশেও ২১ বছর লড়াই করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ফিরে পেয়েছিল। ষড়যন্ত্রে নয়, নির্বাচনে। তখনকার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। কিন্তু এখন! একদিকে মানুষ হত্যা অন্যদিকে দুর্নীতির কলঙ্ক হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে। এই দুটো তার পিছু ছাড়ছে না, ছাড়বে না।  অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে নানা বিষয়ে অনৈক্য তৈরি হয়েছে এটা ঠিক। তবে তারা এই বিষয়ে একাট্টা যে, কোনো অবস্থাতেই পরাজিত শক্তিকে এক ইঞ্চি ভূমিও দেয়া যাবে না। যখনই সংকট সৃষ্টি হয় তখনই প্রফেসর ইউনূস পতিত সরকারের ফিরে আসার ভয় দেখান। এরপর সবাই চুপ হয়ে যায়। 

অতি সমপ্রতি তাই দেখা গেল। তাহলে এমন কী ঘটলো? অনেকেই বলছেন দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য এটা এক পুরনো কৌশল। চাঁদাবাজির ঘটনায় সারা দেশে যখন তোলপাড় হচ্ছে তখন অবশ্য দৃষ্টি ঘোরানোর একটা পথ খোঁজাই জরুরি। 

হায় রে রাজনীতির খেলা! মানুষ যাবে কোথায়? কিছু হলেই যেখানে রাস্তা বন্ধ করে ক্ষমতার মহড়া চলে তখন এটা ভেবে আর কী লাভ? তবে আশ্চর্য হতে হয় প্রেস সচিবের বক্তব্যে। তিনি আগামী ৭ দিন অত্যন্ত ক্রুশিয়াল বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও তিনি জুলাই সনদের উপর বেশি জোর দেন। সরকারের কাজ হচ্ছে মানুষকে স্বস্তি দেয়া, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। অপশক্তিকে রুখে দেয়া। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় বিরামহীনভাবে টকশো চলছে ‘আতঙ্ক’ শিরোনামে। সবারই এক কথা- কী ঘটতে চলেছে। টানটান উত্তেজনা। লিওনেল মেসির পায়ে যখন বল তখন উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে গোটা স্টেডিয়াম। এবার কিছু ঘটবেই। সবসময় ঘটে না। তারপরও উত্তেজনার কমতি নেই। এরকম অবস্থা কি তৈরি হচ্ছে? দেশের একজন সিনিয়র সাংবাদিককে প্রফেসর ইউনূস প্রেস সচিব হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তার প্রতিটি কথা যে মনিটর হচ্ছে তা না বোঝার কোনো কারণ নেই। মানুষ নানা কারণেই সরকারের ওপর বিরক্ত। এটা তিনি জানেন না- তা নয়।  

এই যখন অবস্থা, প্রেস সচিবের দায়িত্বটা কী। মানুষের মনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা নাকি উস্কে দিয়ে কোনো ফায়দা লোটা! নাকি ক্ষমতার মসনদকে নিরাপদ রাখা। ধীর-স্থির মানুষ হিসেবে শফিকুল আলমের পরিচিতি ছিল বন্ধু মহলে। এখন এমন কি ঘটলো তার চরিত্রই পাল্টে গেল! নাকি সরকারের ভেতরকার অস্থিরতা তাকে  কাবু করে ফেলেছে! 

হাসিনা শাসন তো শুধু রাজপথের আন্দোলনে ফুঁ হয়ে যায়নি। পর্দার আড়ালের নানা কৌশলের কাছে তাকে হার মানতে হয়। এক বছর পর অনেক কথাই শোনা যাচ্ছে। এখনই পুরোপুরি জানা যাবে না। পুরনো দলিল ঘেঁটে হয়তো একদিন আসল সত্যিটা বের করে আনা সম্ভব হবে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়