মনিরুল ইসলাম: আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গোপালগঞ্জে সংঘটিত সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে মানুষের মনে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম— এটা নিয়ে দুঃখ, ক্ষোভ, হতাশা—সবই আছে। তবে আমরা চাইনি আমাদের বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় কোনও ধরনের শক্তি প্রয়োগ হোক।”
তিনি আরও জানান, “মাইলস্টোন স্কুলের ছাত্ররা আমাদের প্রতি বিরূপ ছিল না। যখন আমরা প্রথম বের হওয়ার চেষ্টা করি, তখন স্কুলের দুজন ছাত্র আমাদের গাড়িতে ছিল। মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষ উত্তেজিত ছিল এবং তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল—এটা আমরা অস্বাভাবিক মনে করছি না।”
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গুজব ও বিভ্রান্তি নিয়ে সতর্কবার্তা
আসিফ নজরুল বলেন, “নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। আমি দেখেছি, কিছু সাংবাদিক দায়িত্বশীলভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোদের এক্সপোজ করছেন, যা প্রশংসনীয়। এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে দায়িত্বহীনভাবে গুজব ছড়ানো সবচেয়ে বড় অপরাধ। সরকার অত্যন্ত সহনশীল; আমরা সবসময় সহনশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু গুজব রোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ নিশ্চিত কোনো তথ্য পান, তাহলে সরকারকে জানাতে পারেন। আমরা স্কুল প্রাঙ্গণেই তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছি, যেখানে নিয়মিতভাবে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হচ্ছে।”
অপ্রমাণিত তথ্য ও গণমাধ্যমের ভূমিকা
“নিহতদের পরিবার বা স্কুল কর্তৃপক্ষ অনেক সময় কিছু বলছে না। অথচ আমি ভিডিও ফুটেজে দেখেছি—একটি স্কুলের ছাত্রী দাবি করছে, সে ক্লাস থ্রি’র মেয়ের বন্ধু, অথচ সে নিজে ক্লাস নাইনের। এটা কতটা বাস্তবসম্মত?”— প্রশ্ন রাখেন ড. নজরুল।
তিনি বলেন, “মিডিয়া এখন অনেক শক্তিশালী এবং স্বাধীন। আপনাদের দায়িত্ব গুজব প্রতিহত করা। স্কুলের রেজিস্টারেই সব শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। বুধবার আমরা মাইলস্টোনে গিয়ে দেখেছি, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে রেজিস্টার তুলে দিয়েছেন—তথ্য যাচাই করার জন্য।”