মনিরুল ইসলাম: গোপালগঞ্জ জেলা সদরে গত ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বনির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতা, সরকারি স্থাপনায় হামলা এবং নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।
দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর ধারা ৩-এর অধীনে গঠিত এই তদন্ত কমিশনের নেতৃত্বে আছেন সাবেক বিচারপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিক। অন্যান্য সদস্যরা হলেন—
এই কমিশন গঠনের পেছনে আগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কমিশনের কার্যপরিধি:
১. ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ নিরূপণ
২. জনসভায় আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংগঠন শনাক্ত
৩. দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ
৪. হামলা ও নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার ঘটনাবলি বিশ্লেষণ
৫. ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নির্ধারণ
কমিশনের প্রাথমিক তথ্যমতে, ওইদিন নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে এনসিপি-র জনসভায় হামলা চালায়। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা এবং কারফিউ জারি করে। ইন-এইড-টু সিভিল পাওয়ার অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ওই সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
প্রয়োজনে তদন্ত কমিশন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তাদের প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে। কমিশন তিন সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।