শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে: সেনাপ্রধান ◈ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: টানাপড়েনের মধ্যেও বহমান আন্তঃনির্ভরতা ◈ পলাতক আ.লীগের নেতাদের জমি বিক্রির হিড়িক: টাকা পাচার হচ্ছে দুবাই, কানাডা, ইউরোপে! ◈ সরকারের নতুন আয়কর প্রস্তাব: নতুনদের জন্য ছাড়, উচ্চ আয়ের জন্য কর হার বাড়ছে ◈ আমাদের সমুদ্র সোনার খনি:‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ◈ এ এক অন্য রকম আয়নাবাজী: ১২ বছর ধরে অন্যের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি, অবশেষে ফাঁস হলো প্রতারণা ◈ পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান অপসারণের আল্টিমেটাম ◈ অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পেতে যাচ্ছেন সুখবর ◈ টেকনাফ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা: কর না পেয়ে পণ্য আটকে দিচ্ছে আরাকান আর্মি ◈ পাহাড়ধস ও জলাবদ্ধতার সতর্কতা, ১১ জেলায় বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৫, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডর’ প্রস্তাব ঘিরে উত্তাপ: রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ

করিডর ‘বিতর্কের’ মধ্যে মিয়ানমার থেকে দূত ফেরাচ্ছে সরকার

রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি ‘মানবিক করিডর’ স্থাপনের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্কের মধ্যে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ‘অনতিবিলম্বে’ দায়িত্ব ত্যাগ করে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনকে চলতি সপ্তাহে ঢাকা ফিরে আসার জন্য বলেছে। ঢাকা-নেইপিডোর নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও।

মনোয়ার হোসেন ২০২৩ সালের আগস্টে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পান। বিসিএস ২০ ব্যাচে প্রথম স্থান অধিকার করা মনোয়ারকে প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিয়ানমারে অ্যাসাইন করা হয়। তিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খানের স্থলাভিষিক্ত হন।

গত ২৭ এপ্রিল রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে সরকারের নীতিগত সম্মতির তথ্য প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এরপর শুরু হয় করিডর বিতর্ক। প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও এখনো বিতর্ক থামেনি। চলছে সমালোচনা। এ ইস্যুতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে ছেড়ে কথা বলছে না। বরং ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে। বিষয়টি এতটাই সমালোচনার জন্ম দিয়েছে যে, সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে ‘বিশেষ’ ব্রিফ পর্যন্ত করে অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়েছে। তবে আলোচনা এখনো থামেনি।

করিডর ছাড়াও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। এটি প্রকাশ্যে আসায় সরকারকে তার জন্য মাশুলও দিতে হয়েছে। এ নিয়ে জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের সরকার ঢাকায় কূটনৈতিক পত্র দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এ ছাড়া, গত এপ্রিলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় খলিলুর রহমান জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী উ-থান শোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের প্রসঙ্গ আসে। যদিও মিয়ানমার আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলেছে। পরে নতুন করে লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরে ‘প্রত্যাবাসন’ নিয়ে উল্টো সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।

‘মানবিক করিডরের নামে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না’
এর আগে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখায় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আফতাব হোসেনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয় সরকার।

গত ১৩ মে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থে‌কে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখায় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফতাব হোসেনকে জরুরি ভিত্তিতে দায়িত্ব হস্তান্তরপূর্বক প্রতিস্থাপক ব্যতিরেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের আদেশ দেওয়া হলো।

উল্লেখ্য, পেশাদার কূটনীতিক মনোয়ার হোসেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে উপস্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার পর তিনি সদর দপ্তরের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদেও কাজ করেছেন।  উৎস: ঢাকা পোষ্ট।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়