শিরোনাম
◈ ঐকমত্য না হওয়া বিষয়গুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে: আলী রীয়াজ ◈ রপ্তানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, মার্কিন বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের জন্য কঠিন সময়: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা ◈ চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না: প্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে কর্মবিরতি: কার্যত অচল আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন ◈ সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে যে পোস্ট দিলেন প্রেসসচিব ◈ পর্দার আড়ালে যা ঘটেছে! ◈ চরম গরমে স্বস্তি আনতে হজ রুটে ঠান্ডা ও রাবারযুক্ত রাস্তা চালু করলো সৌদি আরব ◈ মেসি জাদুতে হার এড়ালো ইন্টার মায়ামি ◈ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের প্রতিবাদে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ, কালাকানুন বাতিলের দাবি ◈ ভারত, পাকিস্তান, ইরান এমনকি চীনের কাছে যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তালেবান!

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২৫, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢালাও মামলা-গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়: তদন্তের আগে গ্রেপ্তার না করার পরামর্শ ড. শাহনাজ হুদার

ঢালাও মামলা-গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তারের আগে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. শাহনাজ হুদা।

তিনি একটি জাতীয় দৈনিকে নিজের অভিমত প্রকাশ করে এ কথা বলেন।  

শাহনাজ হুদা বলেন, মামলাগুলো যদি পরেও তদন্ত করতে বলা হয়, মনে রাখতে হবে যে এতগুলো মামলার তদন্ত করতে অনেক পুলিশ লাগবে। থানায় তো শত শত উপপরিদর্শক লাগবে। সেটা কি আমাদের আছে? তাহলে কত দিন সময় লাগবে? এ ব্যাপারে সরকারের অবশ্যই কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে।  

তিনি বলেন, একটা মামলায় ৩০০-৪০০ আসামি, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমার মনে হয়, যারা ক্রিমিনাল আইন প্র্যাকটিস করেন, তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে যে এ ধরনের ক্ষেত্রে আমাদের ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডে (ফৌজদারি কার্যবিধি) কী বলা আছে। এ বিষয়টি সম্পর্কে আসলে কিছুটা সংশয় আছে। কারও নামে মামলা হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে হবে কি না, এগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা বোধ হয় নেই।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক মনে করেন, ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইনে যদি অস্পষ্টতা থাকে, সেটা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। কিন্তু আমরা যদি প্র্যাকটিক্যাল চিত্রটা দেখি, একটা থানায় তো হাজার হাজার মামলা থাকে, প্রতিটি মামলা তদন্ত করতে গেলে তো বছর বছর লেগে যাবে। ততদিন এই লোকগুলোর কী হবে? এভাবে যদি শত শত লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং বলা হয় যে তদন্ত করা হবে, তাহলে পরিস্থিতিটা কী দাঁড়াবে? অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। কিন্তু আমার উপরিউক্ত মন্তব্য তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  

অধ্যাপক শাহনাজ হুদা আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত আইন নিয়ে পড়াই। ঢালাও মামলা ও গ্রেপ্তারের সমাধানটা কী, তা স্পষ্টভাবে বলতে পারছি না। যারা ফৌজদারি আইন নিয়ে পড়ান, তাদের সঙ্গে সরকারের দিক থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যারা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আছেন, তাদের কোনো একজনের বিরুদ্ধে যদি মামলা হয়, তখন কী হবে? তখনো কি বলা হবে যে গ্রেপ্তার করা যাবে? নিশ্চয়ই কোনো একটা উপায় আছে। এই উপায়টা সরকারকে বের করতে হবে। না হলে যেভাবে ঘটনাগুলো ঘটছে, তাতে মানুষের ওপর অত্যাচার হয়ে যাচ্ছে।  

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য শাহনাজ হুদা বলেন, আমরা চাই, কেউ আসলেই যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, সেটার বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু বিচারে প্রমাণিত হওয়ার আগে সবাই নির্দোষ। এখন অপরাধ প্রমাণ করার প্রক্রিয়ায় যদি দীর্ঘসূত্রতা থাকে, তাহলে তো লাভ হচ্ছে না। একজন নির্দোষ হলেও যদি সেটা প্রমাণ হতে ৫-১০ বছর লাগে, তাহলে আসলে লাভ নেই। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। এত আলোচনা সত্ত্বেও যে ঢালাওভাবে এত মামলা হচ্ছে, এটা অবশ্যই খুব উদ্বেগজনক।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়