শিরোনাম
◈ ফ্রা‌ন্সের লিও শহ‌রের কসাই থেকে গাজার কসাই: ইতিহাসে বারবার অপরাধীদের বাঁচিয়েছে আমেরিকা ◈ রিজার্ভে বড় সাফল্য: আইএমএফের লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ, প্রবাসী আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি! ◈ আদানির বকেয়ার সব টাকা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ◈ মাঠে ছড়িয়ে থাকা লেবু ও  ডিম দে‌খে ম্যাচ খেলতে আসা ‌ক্রিকেটাররা ভয়ে পালালেন ◈ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আপত্তি মোদি সরকারের! ◈ উনি ক্লাসে বাজে ঈঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পাশাপাশি বডি শেমিং করেন ◈ এবার নিউ ইয়র্ক মেয়রপ্রার্থী মামদানিকে গ্রেপ্তারের হুমকি ট্রাম্পের! তীব্র প্রতিক্রিয়া ◈ বউ পেটানোয় শীর্ষে খুলনা ও বরিশালের মানুষ: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ভিডিও) ◈ ক‌ষ্টের জ‌য়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনা‌লে রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ দুপু‌রে এ‌শিয়ান কাপ বাছাই‌য়ে স্বাগ‌তিক মিয়ানমা‌রের বিরু‌দ্ধে লড়‌বে বাংলাদেশ নারী দল

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০৬ বিকাল
আপডেট : ১১ মে, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত এক বছরে ভারতে আটক আড়াই হাজার বাংলাদেশি

ডয়চে ভেলে।। শেষ ১৩ মাসে মোট দুই হাজার ৬০১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একথা জানানো হয়। ধৃতরা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত আকারে একথা রাজ্যসভায় পেশ করেন। ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকে এবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মোট দুই হাজার ৬০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পরেছেন।

এক বছরের খতিয়ান

মন্ত্রণালয়ের বিস্তারিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবছরের জানুয়ারিতে ১৭৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ২৫৩, নভেম্বরে ৩১০, অক্টোবরে ৩৩১, সেপ্টেম্বরে ৩০০, অগস্টে ২১৪, জুলাইতে ২৬৭ এবং জুনে এই সংখ্যা ছিল ২৪৭।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে আরো নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। এর জন্য সীমান্তরক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহারও আরো জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে আসামের ধুবড়ি সীমান্তে হ্যান্ড হেল্ড থার্মাল ইমেজার্স, রাতের অন্ধকারে ব্যবহারের জন্য নাইট ভিশন ডিভাইসেস, ইউএভি, সিসিটিভি /পিটিজেড ক্যামেরা, আইআর সেন্সর এবং কম্প্রিহেন্সিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, "স্থানীয় পুলিশ বাহিনী এবং বিজিবির সঙ্গে সহযোগিতায় নজরদারি, নাকা চেকিং বাড়ানো হয়েছে। চেকপোস্টে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। সৌর আলো এবং অন্যান্য আলোর মাধ্যমে সীমান্ত অঞ্চল আলোকিত রাখা হয়েছে। নদী এলাকায় ভাসমান নৌকার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সংবেদনশীল অঞ্চলে প্রয়োজনীয় ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার করা হচ্ছে।" স্থানীয় দালাল চক্রের উপরেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। 

এদিন পাচারের বিষয়েও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তার কথায়, মানুষ পাচার রুখতে পুলিশ কুকুর এবং বিএসএফের নেতৃত্বে অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিটকে সক্রিয় করা হয়েছে।     

ভারত-বাংলাদেশ গাইডলাইন্স ১৯৭৫-এর ভিত্তিতে বিএসএফ এবং বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০১১-র কোয়র্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী বিএসএফ এবং বিজিবির উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছেন।

সীমান্তে নজরদারি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে নিত্যানন্দ রাজ্যসভায় সীমান্তে ব্যবহৃত জলযান, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, টুইন টেলিস্কোপ, এনভিডি-সহ আরো ব্যবস্থার বিস্তারিত খতিয়ান দেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়