মাসুদ আলম :দেশের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চান অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা। শনিবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান’ ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এমন ঘোষণা দেন তারা।
বক্তব্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের সমালোচনা করেন।
বক্তব্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর একের পর এক আগ্রাসী আচরণ করছে ভারতের গণমাধ্যম ও কিছু রাজনীতিক। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকার অবমাননায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর হুমকিতে পড়েছে বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন, ‘আমরা আজকে যে ঐক্যবদ্ধের ডাক দিয়েছি, আমাদের এই প্রচেষ্টা আজকের এই সমাবেশেই শেষ নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আপনাদের সঙ্গে নিয়ে রুখে দিতে চাই।’
সমাবেশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মানেশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়ে কারফিউ উপেক্ষা করেছি। সেদিনের মতো যেকোনও প্রয়োজনে আমরা দেশের জন্য রাজপথে থাকবো। যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের পাশে থাকবো।’
দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আমরা লাখ লাখ প্রশিক্ষিত সৈনিক ও হাজার হাজার প্রশিক্ষিত অফিসার সবসময় এদেশের জনগণের পাশে ছিলাম, থাকবো। আমরা যেকোনো প্রয়োজনে দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তত।’
ভারতের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘শুধু আমরা সশস্ত্র বাহিনীই নয়, আমাদের সতের কোটি জনতা আছে আপনাদেরকে সীমান্তেই রুখে দিতে।’
সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আপনার মতামত লিখুন :