শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০ টাকা, ছাগলের ১০ ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিন ও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর ◈ ভারতে ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি ◈ দলীয় নেতাদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় 

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৪, ০১:৪১ দুপুর
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৪, ০২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সালেহ বিপ্লব: ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে অংশীদার হতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে বাংলোদেশে তাদের ব্যবসার সুযোগ খোঁজার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার গণভবনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (ইউএসবিবিসি) সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

ইউএসবিবিসির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ শিল্প, হালকা ও ভারী শিল্প, রাসায়নিক সার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সমুদ্র সম্পদ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো উচ্চ সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।’

ভবিষ্যতে ইউএসবিবিসির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি সরবরাহ ও একটি সহজ সাপ্লাই চেইন তৈরির মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হয়ে উঠবে যুক্তরাষ্ট্র।’

দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ইউএসবিবিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শুধু আঞ্চলিকভাবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নই এখন আমাদের লক্ষ্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৈশ্বিক অংশীদারদেরও আমরা এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই।’

গত ১৫ বছরে সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় একটি আধুনিক মানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পের অবকাঠামোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসবের পাশাপাশি আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোগুলোরও উন্নয়ন করা হচ্ছে। এগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়িয়েছে।’

এর পাশাপাশি ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাইটেক পার্কের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে এসবের কয়েকটি চালু হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিশেষ করে আইটি খাতে ১০ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সিং আইটি পেশাদার রয়েছে আমাদের। তাই প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সঠিক গন্তব্য। এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে আমরা তরুণ, দক্ষ ও সম্ভাবনাময় কর্মশক্তির একটি বিশাল উৎসও বটে।’

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের বাংলাদেশ সবচেয়ে উদার নীতি অনুসরণ করে উল্লেখ তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও উন্নত করতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

২০২৬ সালে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে বাংলাদেশের আসন্ন উত্তরণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি ‘স্মার্ট জাতি’ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে কাজ করছি। তাই বৈশ্বিক সহযোগিতা ও আমাদের রপ্তানির আরও বাড়াতে আপনাদের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।”

এ ছাড়াও সুশাসন, আইনের শাসন, স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আইসিটি খাতের অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নিবিড় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পরিণত হয়েছে বলে স্বীকার করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করাই আমাদের লক্ষ্য। ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধিই এর প্রমাণ।’

যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির বৃহত্তম গন্তব্য, বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস এবং জ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়