শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০ টাকা, ছাগলের ১০ ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিন ও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর ◈ ভারতে ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি ◈ দলীয় নেতাদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় 

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৪, ১২:২৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৪, ০৫:১০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ছোবলে ৭ জনের মৃত্যু, উপকূল প্লাবিত, ১০ নং মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার

মুসবা তিন্নি : [২] ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ মে) বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ভোলা জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

[৩] এদিকে ভোরে রেমালের তাণ্ডবে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে ২ জন নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, ৪ জন হোটেলে অবস্থান করছিলেন। বাতাসের তীব্রতায় আকস্মিক পাশের চারতলা ভবনের একটি অংশের দেয়াল ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন হোটেল মালিক লোকমান ও কর্মচারি মোকছেদুল। আহত কর্মচারি সাকিবকে শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

[৪] চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা গেছেন সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামের এক পথচারী। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় একটি দেয়ালের পাশে আশ্রয় নেন হৃদয়। হঠাৎ দেয়ালটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।

[৫] ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ভোলায় বসতঘরে চাপা পড়ে মারা যান মনেজা খাতুন নামের এক নারী। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, রাতে মনেজা খাতুন তার এক নাতিকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঝড়ো বাতাসে তার টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনেজা। তবে অক্ষত আছেন তার নাতি।

[৬] এছাড়া, জেলার দৌলতখানে ঘর চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে আর এক শিশুর প্রাণ গেছে। সে দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনির হোসেনের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, রাতে বাবা-মার সাথে ঘুমিয়ে ছিল শিশু মাইশা। ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালে তাদরে ঘরের পাশে গাছ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মাইশার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তাদের পরিবারের আরও তিনজন আহত হয়েছে।

[৭] এছাড়া, রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্লাবিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।

[৮] এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে পড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতও প্রত্যাহার করা হয়েছে। চার বন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

[৯] সোমবার বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেমালের দুর্বল হয়ে যাওয়ার তথ্য জানান। তিনি বলেন, রেমাল এখন স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে যশোর ও এর কাছাকাছি এলাকায় আছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। আর আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

[১০] ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর শনিবার রাতে খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয় ১১১ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এখনো ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলছে।

[১১] গত রোববার রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

[১২] রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়, ১১১ মিলিমিটার। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ৯ মিলিমিটার।

[১৩] তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের দক্ষিণের জেলাগুলোতে গতকাল রোববার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে সোমবার সকাল ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঝরছিল। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। বেশ কয়েকটি জেলা বিদ্যুৎহীন আছে। 

[১৪] ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনা নগরের নিম্নাঞ্চল। নগরের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। খুলনা শহর ও জেলার প্রায় পুরোটাই বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। গতকাল রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে নগরের মুজগুন্নী, লবণচরা, মোল্লাপাড়া, টুটপাড়া, মহিরবাড়ি খাল পাড়, শিপইয়ার্ড সড়ক, চানমারী বাজার, রূপসাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো ওই সব সড়কে পানি আছে। সোমবার সকাল নয়টার দিকে খুলনা শহরে বাতাসসহ বৃষ্টি হচ্ছে। শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। রাস্তাঘাট প্রায় যানবাহন ও জনমানবশূন্য।

[১৫] খুলনা আবহাওয়া বিভাগের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত খুলনা নগরে ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সকাল নয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখনো খুলনা অঞ্চল ছেড়ে যায়নি। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার দিনভার দমকা বাতাসসহ বৃষ্টি চলবে। আগামীকাল মঙ্গলবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

[১৬] এদিকে খুলনার দাকোপ উপজেলায় জোয়ারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়।

[১৭] তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এত উঁচু জোয়ার আগে তার এর আগে দেখেননি। ঢাকি ও শিবসা নদীর মোহনায় কামিনীবাসিয়া পুরাতন পুলিশ ক্যাম্প-সংলগ্ন ওই এলাকায় বেড়িবাঁধের অংশ খুব বেশি দুর্বল ছিল না। তবে বেশ কিছুটা নিচু হওয়ায় উচ্চ জোয়ারের চাপে পানি বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে ভেতরে ঢোকে। এরপর বেড়িবাঁধের পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙে যায়।

[১৮] ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জোয়ার প্রবাহিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে জেলা শহরসহ সেখানকার উপকূলের অনেক গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলা এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পালের বালিয়াতলী ও বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকর এলাকায় বাঁধ ভেঙে ১০-১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ে।

[১৯] ভোলার মনপুরা উপজেলায় দিন ও রাতের জোয়ারে ঘরে গলাসমান পানি উঠেছে। ঘরের খাটের ওপর দাঁড়ানোর অবস্থা ছিল না। বাড়ির আশপাশের সব ফসল লোনাপানিতে ডুবে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

[২০] কলাতলী ইউনিয়নের চারপাশে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণে কোনো বাঁধ নেই। ফলে জোয়ারের পানি উঠে ফসল-মাছের ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, মনপুরা, লালমোহন, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলায় মোট ১০টি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

[২১] সাতক্ষীরায় দমকা বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছু কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে, উপড়ে পড়েছে গাছপালা। কিছু চিংড়িঘেরও ভেসে গেছে। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা সারা রাত শ্যামনগর-কালীগঞ্জ সড়কের ওপরে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা চালু রেখেছেন।

[২২] যশোরে বাতাসের গতিবেগ বাড়লে গোটা শহরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ বিষয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক অমূল্য কুমার সরকার বলেন, ‘রাতে ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সকাল থেকে মেরামতের কাজ চলছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।’

[২৩] কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর, খ্রিষ্টানপল্লি, পশ্চিম হাজিপুর, নবীপুর, ফতেহপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রোববার রাত ১২টার সময় জোয়ারে জালালপুর গ্রামসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর থেকে পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এ কারণে এখানকার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

[২৪] কুয়াকাটা সৈকত এলাকা এখনো ছয়-সাত ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। কুয়াকাটার নিকটবর্তী পশ্চিম খাজুরা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির বাইরের অংশ এবং সাগর মোহনার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও জোয়ারের চাপে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মুন্সী বলেন, বাঁধের ঢালের ক্ষতি হয়েছে। আবার জোয়ারের চাপ বাড়লে বাঁধটি ছুটে যেতে পারে।

[২৫] রোববার সন্ধ্যা থেকে কলাপাড়া উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়। এর ফলে জনজীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের কলাপাড়া কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক সজীব পাল বলেন, ‘ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এগুলো ঠিক না করে বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা সচল করা যাচ্ছে না।’

[২৬] বাগেরহাটে রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি আর থেমে থেমে দমকা বাতাস এখনো অব্যাহত আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এত দীর্ঘ সময় ধরে ঝোড়ো বাতাস আগের কোনো ঘূর্ণিঝড় দেখেননি তারা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা পড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো বাগেরহাট। শহরাঞ্চলে আজকের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে ওজোপাডিকো। তবে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় আনতে আরও সময় লাগতে পারে।

[২৭] রোববার রাত থেকে বাগেরহাট জেলার নদ-নদীগুলার পানি আরও বেড়েছে। জেলার অন্তত তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। বাঁধ উপচে পড়া জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ১০০ গ্রাম। তলিয়ে গেছে বসতঘর, রান্নাঘরসহ গৃহপালিত পশুপাখির থাকার জায়গাগুলো। জোয়ারের পানিতে জেলার কয়েক হাজার মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত চার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। (বিভিন্ন এলাকার সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে) সম্পাদনা: রাশিদ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়