মাজহার মিচেল: বাংলাদেশ-মালয়শিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিজের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির সোমবার (২০ মার্চ ) আমাদের নতুন সময়কে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মালয়শিয়ায় কর্মী পাঠানো আর তাদের সাথে ব্যবসা করা দুটি ভিন্ন জিনিস।
উভয় দেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে চায়। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে খুব বেশি আগ্রহী বলে তিনি জানান।
আলমান বলেন, মালয়েশিয়ার পাম ওয়েল, ফার্নিচার, চকলেট, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এখানে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, ফলে কম খরচে এ সকল পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব বলে মালয়েশিয়া বাংলাদেশে এসকল পণ্যের কারখানা স্থাপন করতে ইচ্ছুক।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দেশটির সাথে ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ)’ স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। এতে করে উভয় দেশ উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। এগুলোর মধ্যে তৈরী পোশাক, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা যন্ত্রপাতি ও চামড়াজাত পণ্য উল্লেখযোগ্য। একই সময়ে ১ হাজার ৫৭৬.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। এ অসমতাকে সামতায় আনতে এ মুহুর্তে দক্ষ কর্মী পাঠানোর দিকে নজর দেয়ার তাগিদ দেন তিনি।
এমএম/এএ
আপনার মতামত লিখুন :