লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হৃদ্রোগ। জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে এই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষকেই। তাই সময় থাকতেই লাইফস্টাইল ও ডায়েটে পরিবর্তন আনাটা বেশ জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও মানসিক উদ্বেগের কারণে বর্তমানে হৃদ্রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায় ডায়েটে ৬টি খাবার প্রাধান্য দিলে।
হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে এসব খাবার কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে এসব খাবার। আজকের আয়োজনে আসুন জেনে নিই সেসব খাবার সম্পর্কে।
হলুদ: হার্ট সুস্থ রাখতে রান্নায় হলুদের প্রাধান্য বাড়িয়ে দিন। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আর্টারিতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না; বরং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে সুরক্ষিত রাখে আপনার হৃদয়কে।
ব্রোকলি: ভাতের সঙ্গে সবারই কমবেশি সবজি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। অন্যসব সবজির সঙ্গে ব্রোকলিকে একটু বেশিই প্রাধান্য দিতে পারেন এখন থেকে। কেননা, ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’ রয়েছে, যা আর্টারির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্রোকলির ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
দারুচিনি: স্বাদে মিষ্টি দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
খেজুর: প্রতিদিন তিনটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস হার্টকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখতে পারে। খেজুরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
বেদানা: লাল রঙের বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানও আর্টারির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী।
গ্রিন টি: হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে দিনে অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এই অভ্যাস রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আপনার হার্টের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে। তাই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বরং হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে ডায়েটে এসব খাবার প্রাধান্য দিতে পারেন।
সূত্র: জি নিউজ