শিরোনাম
◈ জনবল সংকটেও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বিইআরসি ◈ ইসির ওয়েবসাইটে আওয়ামী লীগের তথ্য অপসারণ, নেই প্রতীক ও নিবন্ধনের তারিখ ◈ পুলিশের গাড়িতে হামলার পর গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়ি বহরে হামলা ◈ জয়া আহসানের অভিনয় নিয়ে ক্ষোভ, টালিউডে বাংলাদেশি শিল্পীদের উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক ◈ লাহোর থেকে করাচির বদলে জেদ্দায়! এয়ার সিয়ালের ভুলে যাত্রী আটক, ক্ষতিপূরণ দাবি ◈ গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন ◈ শেরপুরে কলেজ ছাত্রকে ক্ষুরাঘাতের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ১৮ ◈ চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার ◈ কুমিল্লায় উপজেলা প্রকৌশলীকে লাথি মেরে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ◈ এবার কক্সবাজারে চুরির পর পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:২৮ রাত
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৮:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুহাম্মদ (সা.) শবে মেরাজের রাতে যে দোয়া বেশি পড়তেন

ফাইল-ছবি

ইসলাম ডেস্ক:  মুসলিমদের ইবাদত পালন করার রাতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রাত হচ্ছে শবে মেরাজ। এ রাতে আল্লাহর হুকুমে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।

তিনি এ রাতে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে খুবই পবিত্র।

মেরাজ আরবি শব্দ, এর শাব্দিক অর্থ ঊর্ধ্বগমন। আরবি রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা হয়ে বোরাকে করে ঊর্ধ্বাকাশ পাড়ি দিয়ে আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন মুহাম্মদ (স.)। একেই ইসলামে মেরাজ বলা হয়।

আল্লাহ বলেন, পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তার নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাতে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন। যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত-১)

নবুয়তের দশম বর্ষের রজব মাসের ২৭ তারিখ হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ৫০ বছর বয়সে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়।

এ রাতে আল্লাহর রহমত কামনায় মুসলমানরা মসজিদে, নিজগৃহে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করেন।

এই মেরাজের রাতেই মুসলমানদের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়। এ রাতেই প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

এ রাতে হজরত মুহাম্মদ (স.) যে দোয়া করতেন তাতে রজব ও শাবান মাসের বরকত ও পবিত্র রমজান পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধির আবেদন ফুটে ওঠে। দোয়াটি তিনি নিজে পড়তেন এবং মুসলিম উম্মাহকে পড়তে বলেছেন।

দোয়াটি হলো- ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাদান। অর্থ, হে আল্লাহ আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’

রজব ও শাবান মাসে হজরত মুহাম্মদ (স.) এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তখন তোমরা এ রাত ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও। দিনের বেলায় রোজা রাখ। কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব, কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব, আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮৪)। আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়